ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

উচ্চমাধ্যমিকে পাশের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্রীর আত্মহত্যা

ওপার বাংলা ডেস্ক | আপডেট: রবিবার, জুন ১৯, ২০২২

উচ্চমাধ্যমিকে পাশের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্রীর আত্মহত্যা

ফাইল ছবি

সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল করেন অনেক শিক্ষার্থী। এরপর পাসের দাবিতে বিক্ষোভও করেন তারা। সেই বিক্ষোভে থাকা এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বাড়ির ছাদে চিলেকোঠায় ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

মৃত ছাত্রীর নাম শম্পা হালদার (১৭)। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে আরএন রায় গার্লস স্কুল সহ এলাকায়।

উচ্চমাধ্যমিকে অকৃতকার্য পড়ুয়াদের আন্দোলন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের শিক্ষামহলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ফেল করার পর পরও পাশের দাবি জানাচ্ছেন পড়ুয়ারা। তার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। গত কয়েকদিন ধরেই উচ্চমাধ্যমিকে ফেল করা পড়ুয়াদের লাগাতার আন্দোলন দেখা যায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। সেই আন্দোলন থেকে বাদ যায়নি মালদাও। আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন হবিবপুরের আরএন রায় গার্লস হাইস্কুলের বহু পড়ুয়াই। তাঁদের নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছিল স্কুলেরই ছাত্রী শম্পাকে। এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় শম্পা নিজেও পাশ করতে পারেননি। ইংরেজিতে পাশ করতে পারেননি তিনি। তাঁর পরিবারের দাবি সেই কারণেই অবসাদে ভুগছিলেন। অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

এবছর আরএন রায় স্কুল থেকে মোট ১৮০জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার মধ্যে থেকে মাত্র ৮০জন পাশ করেছিলেন। আর বাকি সবাই কোনও না কোনও বিষয়ে পাশ করতে পারেননি। এরপর পাশ করানোর দাবিতে মালদা বুলবুলচণ্ডী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। সম্প্রতি জেলা শিক্ষা দফতর ঘেরাও করেও বিক্ষোভ দেখান। এই বিক্ষোভে সামিল ছিলেন শম্পা। শনিবার বাড়ির ছাদে চিলেকোঠায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান মানসিক অবসাদের জেরে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। উচ্চমাধ্যমিকে ফেল করার পর আন্দোলনরতদের প্রথমসারিতেই দেখা গিয়েছিল শম্পাকে।

শম্পার বাবা কুশি হালদার বলেন, "পরীক্ষায় ফেল করায় পরিবারের সদস্যদের অলক্ষ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।" খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলার অতিরিক্ত সুপার শাহ অমিত কুমার বলেন, "প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ার কারণে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।"