ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

পার্থ-পরেশ-অনুব্রতের সম্পত্তির হদিস চেয়ে আয়কর দফতরের কাছে নথি চাইল সিবিআই

আগে তিন নেতার কাছ থেকে ওই নথি চাওয়া হয়েছিল। তাঁরা নথি জমাও দিয়েছিলেন। এই দুই নথি মিলিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই পদক্ষেপ।


ওপার বাংলা ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, মে ২৫, ২০২২

পার্থ-পরেশ-অনুব্রতের সম্পত্তির হদিস চেয়ে আয়কর দফতরের কাছে নথি চাইল সিবিআই

ফাইল ছবি

মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী এবং তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের আয়কর জমা দেওয়ার নথি এ বার আয়কর দফতরের কাছ থেকে চাইল সিবিআই। এর আগে তিন নেতার কাছ থেকে ওই নথি চাওয়া হয়েছিল। তাঁরা সেই নথি জমাও দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, এই দুই নথি মিলিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই পদক্ষেপ।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থ-পরেশ-অনুব্রতের আয়ের উৎস জানতে চাইছে সিবিআই। ইতোমধ্যেই এসএসসি দুর্নীতি মামলা নিয়ে সিবিআইয়ের লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের মুখে রয়েছেন মন্ত্রী পার্থ এবং পরেশ।

গরু পাচার মামলা এবং ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ মামলায় অনুব্রতকেও বারবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়ালেও সম্প্রতি তিনি সিবিআইয়ের মুখোমুখি হন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আবার ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ মামলায় অনুব্রতকে তলব করা হয়েছিল মঙ্গলবার। যদিও তিনি অসুস্থ জানিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন। অনুব্রতের কাছ থেকেও আয়কর জমা দেওয়ার নথি চাওয়া হয়েছে।

তবে এ বার আয়কর দফতরের কাছ থেকে এই তিন নেতার আয়কর জমা দেওয়ার নথি সিবিআই খতিয়ে দেখতে চাইছে বলেই সূত্রের খবর। তাঁদের আয় সংক্রান্ত নথিতে অসঙ্গতি রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে চাইছে সিবিআই।

প্রসঙ্গত, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশের মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে শিক্ষিকা হিসেবে অবৈধ ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল, এই অভিযোগ উঠতেই পরেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। অঙ্কিতা চাকরি পাওয়ার আগে তাঁর বাবা ফরোয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। সেই মামলার সূত্রে তাঁরও আয়কর জমা দেওয়ার নথি আয়কর দফতরের কাছ থেকে চেয়ে পাঠাল সিবিআই। এসএসসি দুর্নীতি মামলা নিয়ে পার্থকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আবারও তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সেই সূত্রে তাঁর আয়ের উৎস জানতে আয়কর জমা দেওয়ার নথি চাওয়া হয়েছিল মন্ত্রীর কাছ থেকে। একই নথি চাওয়া হল আয়কর দফতরের কাছ থেকেও।

সূত্র: আনন্দবাজার