দু-একদিনের মধ্যেই কিলিয়ান এমবাপ্পে জানিয়ে দেবেন, তিনি কোন ক্লাবে যাচ্ছেন—রিয়াল মাদ্রিদ না কি পিএসজি। আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এটি এমন এক সিদ্ধান্ত, যা এমবাপ্পে ছাড়া আর কেউ জানেন না।
উদ্ভূত পরিস্থিতির সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিয়েছেন ইউলিয়ান লরেন্স। আরএমসি স্পোর্ত, বিটি স্পোর্টস, ইএসপিএনের ফরাসি ফুটবলবিষয়ক এই সাংবাদিকের টুইট করেছেন, ‘এমবাপ্পে কী সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটা হয়তো দু–একদিনের মধ্যেই জানা যাবে। এমন অবস্থাতেও পিএসজি ভাবছে তিনি রিয়ালে যাচ্ছেন, রিয়াল ভাবছে পিএসজিতে থেকে যাচ্ছেন! এই দলবদলের ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য! তবে অন্তত একটা দল খুব তাড়াতাড়িই খুশি হবে।’
তবে ইতালির দলবদল–বিষয়ক নির্ভরযোগ্য সাংবাদিক জিয়ানলুকা দি মারজিও যা বলছেন, তাতে রিয়াল সমর্থকদের বুকের ধুকপুকানিটা বেড়ে যাবে বহু বহুগুণ। ইতালির এই সাংবাদিক যে একরকম নিশ্চিত জানিয়ে দিয়েছেন, রিয়াল নয়, পিএসজিতে থেকে যাচ্ছেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড।
এতদিন শুধু উচ্চ বোনাস ও বেতনের কথা শোনা গেছে। এল চিরিঙ্গিতোর সাংবাদিক এদু আগিরে দুই দিন আগে বলেছিলেন, এমবাপ্পেকে রীতিমতো ক্লাবের ‘ক্রীড়া পরিচালক’ই বানিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে পিএসজি।
কীভাবে? ক্রীড়া প্রকল্পের পুরোটাই নাকি এমবাপ্পের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কোচ বদলানোর ক্ষমতা এবং পছন্দের খেলোয়াড় এনে দেওয়া হবে তাঁকে, যাঁকে এমবাপ্পের অপছন্দ, তিনিই বাদ পড়বেন! এর পাশাপাশি চোখ কপালে তোলা আর্থিক প্রলোভন তো আছেই। দি মারজিওর খবর শুনে এমনটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক যে পিএসজির প্রস্তাবে কাজ হয়েছে।
এরইমধ্যে শেষবারের মতো নিজের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন এমবাপ্পে। কয়েক দিন আগেই কাতারে গিয়েছিলেন পিএসজির কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলার জন্য, কাতার থেকে ফিরেই পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন এই ফরোয়ার্ড।
ইতালির আরেক সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো জানিয়েছেন, ‘আজ পরিবারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন এমবাপ্পে। তবে রিয়াল মাদ্রিদ বা পিএসজি, কোনো দলকেই সবুজ সংকেত দেননি এই ফরোয়ার্ড।’
এমবাপ্পে পিএসজিতে থেকে যাচ্ছেন, অনানুষ্ঠানিকভাবে এই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদ কিছুক্ষণ আগে বেনজেমা-ভিনিসিয়ুসের আলিঙ্গনরত একটা ছবি পোস্ট করেছে। হয়তো অনুচ্চারে এটাই বোঝাতে চাইল ক্লাবটা যে এমবাপ্পে না এলেও আমরা ভালোই থাকব!