ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে লইস্কা বিলে নৌকাডুবির ঘটনায় নিজের স্ত্রী, সন্তান আর শাশুড়ির লাশ দেখে বাকরুদ্ধ উপজেলার তানঘেরাগাও গ্রামের জজ মিয়া।
তিনি কেঁদে কেঁদে জানান, তার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০) ও শাশুড়ি কমলা বেগম (৬০) ডাক্তার দেখানোর জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল তার ছোট মেয়ে মুন্নি আক্তার (১০)। তাদের আর বাড়ি ফেরা হল না। হয়ে গেল লাশ। এ বলে তিনি হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন। গভীর শোকে তিনি সুষ্ঠু বিচার কামনা করেন।
এদিকে নৌকাডুবির ঘটনায় নববধূ শারমিনকে (১৮) হারিয়ে তার স্বামী জহিরুল ইসলাম পাগলপাড়া। স্ত্রীর লাশ দেখে তিনি তার নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন। পানিতে ডুবে তার স্ত্রীকে ধরে রাখতে না পারায় স্রোতের টানে বেশ দূরে চলে যায়। পরে তিনি অনেকক্ষণ পানিতে ডুবে কোনোরকম হাতটা বের করলে উদ্ধারকারীরা তাকে উদ্ধার করেন।
তিনি উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের আওলিয়া বাজার সংলগ্ন বড়মোড়া গ্রামের মৃত ইউনুছ আলীর (আজরআলী) ছেলে। তিনি আওলিয়া বাজারে হেপি মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের কারিগর হিসেবে কাজ করেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিজয়নগরের বালুবাহী ট্রলারে সঙ্গে নৌকার সংঘর্ষে ২২ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সেলিম মিয়া বাদী হয়ে ৭ জনের নামে বিজয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকি ২ জন পলাতক রয়েছেন।