ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

যমুনার পানি বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপরে

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, আগস্ট ২৯, ২০২১

যমুনার পানি বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপরে
উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণের ফলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের যমুনা নদীর পানি বেড়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি ৪০ সেন্টিমিটার, ঝিনাই নদীর পানি বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার এবং ঝিনাই নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ার ফলে বিভিন্ন এলাকার মানুষ বন্দি হয়ে পড়েছেন। শুরু হয়েছে নদীভাঙন।

রোববার সরেজমিন উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ভালকুটিয়া, চিতুলিয়াপাড়া, মেঘারপটল, চরচন্দনী, রেহাইগাবসারা এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে চরচন্দনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মসজিদসহ, বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ভালকুটিয়া এলাকায় বন্যার পানির তীব্র স্রোতে পাকা সড়ক ভেঙে গেছে। এতে কয়েকটি গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ফলদা ও অলোয়া ইউনিয়নে বন্যার পানি প্রবেশ করে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে প্রভাবশালীরা যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে। এতে সেখানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে গৃহহীন হয়ে পড়েছে অর্ধশত পরিবার। ভেঙেছে মসজিদও।

ভালকুটিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, বন্যার পানিতে রোববার সকালে পাকা সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে কয়েক গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। যমুনা নদীর ভাঙনে গ্রামের একমাত্র মসজিদটি ভেঙে যাচ্ছে। কিন্তু ভাঙনরোধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইলে বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে আমনের ক্ষতির পাশাপাশি বীজতলা ও সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এতে কৃষক ব্যাপক লোকসানে পড়বে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত জাহান জানান, নদীভাঙন ও বন্যাদুর্গতদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।