ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

১৮ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার বিজিপি

আমান উল্লাহ কবির, টেকনাফ প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, মার্চ ১৭, ২০২২

১৮ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার বিজিপি
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের অদূরে বঙ্গোপসাগরে 
মৎস্য শিকার শেষে ফেরার পথে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) বাংলাদেশী ১৮ জেলেসহ চারটি নৌকা ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা সকলে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা। 

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবদুস ছালাম এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার বিকালে তাদের ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। বুধবার রাতে এখনো পর্যন্ত মাঝিমাল্লাদের ফেরত দেয়নি তারা।

তিনি বলেন, ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা হলেন টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ জালিয়া পাড়ার মো. জসীম (২৫) একই এলাকার সাইফুল ইসলাম (২৩), মো. ফায়সেল (২৩), আবু তাহের (২২), মো. ইসমাইল (২০), মো. ইসহাক (২৪),আব্দুর রহমান (২৪),নুর কালাম (২৬), মো. হোসেন (২২), হাসমত (২৫), মো. আকবর (২৩), নজীম উল্লাহ (১৯), রফিক (২০), সাব্বির (২৫),মো. হেলাল(২৫), রেজাউল করিম(১৮), রমজান (১৬), জামাল (২১)।
আবদুস ছালাম জানান, সাগরে মাছ শিকারের শেষে ফেরার পথে কাঠবোঝাই ডুবে যাওয়া ট্রলারে উদ্ধার কাজে অংশ নেয় এসব জেলেরা। 

এতে তারা কিছু কাঠও উদ্ধার করে। পরে জেলেরা ফেরার পথে চারটি নৌকাসহ ১৮ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে যায় মিয়ানমার বিজিপি। বিষয়টি জানার পর উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবিকে অবহিত করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সকালে প্রতিদিনের মতো টেকনাফ সাবরাং শাহপরীরদ্বীপ জালিয়া পাড়া এলাকার নুর কালাম, নুর কামাল, মো. জসিম ও মো. ইসলামের মালিকাধীন চারটি নৌকায় ১৮ মাঝিমাল্লা সাগরে মৎস্য শিকারে যায়। মৎস্য শিকার শেষে ফেরার পথে মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে শাহপরীর দ্বীপের কাছাকাছি নাইক্ষ্যংদিয়ার এলাকায় কাঠবোঝাই ট্রলারটি দেখতে পায়। এসময় জেলারা ডুবে যাওয়া ট্রলারের উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। পরে তারা ফিরে আসার সময় মিয়ানমার বিজিপির সদস্যরা স্পীডবোটে এসে তাদের ধাওয়া করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মিয়ানমার বিজিপিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো তারা কোনো সাড়া দেয়নি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, নৌকাসহ ১৮ জন বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ অবহিত করেনি। এ সংক্রান্ত বিষযে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।