জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, আগস্ট ২৯, ২০২১
বগুড়ার
শাজহানপুরে নিউ আফরিন কোল্ড
স্টোরেজে রাখা এক ব্যবসায়ীর
প্রায় দেড় কোটি টাকা
মূল্যের আলু চুরি করে
বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে শাজাহানপুর
থানা পুলিশে অবহতি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত আলু ব্যবসায়ী ধুনট
উপজেলার চৌকিবাড়ি গ্রামের মৃত আজহার আলী
সরকারের ছেলে আলহাজ্ব সোহরাব
আলী সরকার।
জানা
গেছে, জেলার ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি
গ্রামের মৃত আজহার আলী
সরকারের ছেলে আলহাজ্ব সোহরাব
আলী সরকার গত ফেব্রুয়ারি মাসে
শাজাহানপুর উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের জামাদার পুকুর এলাকায় নিউ আফরিন কোল্ড
স্টোরেজে ২৩ হাজার ৪৬৫
বস্তা আলু এবং খরনা
ইউনিয়নের টেংগামাগুর ফাতেমা সাইদুর হিমাগারে ২০ হাজার ৭২৫
বস্তাসহ মোট ৪৪ হাজার
১৯০ বস্তা আলু সংরক্ষণ করেন।
প্রত্যেক বস্তায় আলু ছিল ৭১
কেজি করে। গত ঈদুল
আজহার আগে ব্যবসায়ী সোহরাব
হোসেন আলু বিক্রয় করার
জন্য ওই হিমাগার দুটিতে
খোঁজ নেন। সেই সময়
তিনি আলু বিক্রি করার
জন্য বস্তার হিসাব চাইলে জানতে পারেন তার নির্দিষ্ট মজুদের
থেকে ৯ হাজার ১৫৮
বস্তার কোন হিসাব মিলছে
না। এতে তিনি হতাশাগ্রস্ত
হয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগযোগ করলে কর্তৃপক্ষ তাকে
নয়-ছয় হিসাব বুঝে
দেওয়ার চেষ্টা করেন।
পরে
ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন,
হিমাগারের মালিক কাহালু থানার মুরইল এলাকার মৃত সাইদুর রহমানের
ছেলে খলিলুর রহমান এবং ম্যানেজার আবু
ওবায়দা ও রুবেল হোসেনের
যোগসাজশে ৯ হাজার ১৫৮
বস্তা আলু বিক্রয় করে
দিয়েছেন।
আলুর
মালিক ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন বলেন, হিমাগার ভাড়া নিয়ে আলু
রাখা হয়। কিন্তু হিমাগারের
মালিক ও ম্যানেজার তাকে
না জানিয়ে ৯ হাজার ১৫৮
বস্তা আলু বিক্রি করে
দিয়েছেন। যার বাজার মূল্য
প্রায় দেড় কেটি টাকা।
কিন্তু দীর্ঘদিনেও হিমাগারের মালিক আলু বা টাকা
বুঝিয়ে না দেয়ায় হতাশাগ্রস্ত
হয়ে বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের
কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ
বিষয়ে ওই দুটি কোল্ড
স্টোরেজের মালিক খলিলুর রহমান জানান, ভুলক্রমে তার আলুগুলো বিক্রয়
হয়ে গেছে। বিক্রয় করা আলুর টাকা
পরিশোধ করা হবে।
শাজাহানপুর
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল
মামুন জানান, মৌখিক অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া
গেছে। তবে লিখিত অভিযোগ
পেলে এ বিষয়ে আইনগত
ব্যবস্থা নেয়া হবে।