যানবাহনের চাপে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া প্রান্তে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল দুপুর থেকে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে ফেরিঘাট এলাকায়। যানবাহনের চাপে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে দৌলতদিয়া প্রান্তে। এতে করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রী ও চালকদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। সারারাত ফেরির জন্য অপেক্ষা করে অনেকে পদ্মা পার হতে পারেনি।
বুধবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্টে থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাজার পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের সিরিয়াল রয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসির) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের তথ্যমতে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ফেরিপারের অপেক্ষায় কয়েছে প্রায় ছয় শতাধিক যানবাহন।
যাত্রী চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিপার হতে এসে তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে তারা ফেরিতে যেতে পারছে না। দীর্ঘ ৮/৯ ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফেরিঘাট পর্যন্ত পৌছাতে পারেনি। রাতে রাস্তায় বাসের মধ্যে থাকতে হয়েছে। টয়লেট ব্যবহারের জন্য রাস্তার পাশে বসবাসরত মানুষের বাড়ি যেতে হচ্ছে।
ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর তারক চন্দ্র পাল বলেন, রাতে ঢাকামুখী পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ও নৈশকোচের কারণে পরিস্থিতি বেশি ভয়াবহ ছিলো। ট্রাফিক পুলিশের সাথে অতিরিক্ত পুলিশ যোগ হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখেছে। বর্তমানে ৬ শতাধিক যানবাহন ফেরিপারের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক সচল রাখার। সেটি রাখতে পুলিশকে বেগ পেতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসির) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ম্যানেজার প্রফুল্ল চৌহান বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লেগে যাবে।