পঞ্চগড়ে জেলা মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং রাজঃ ২৬৪-এর ত্রি- বার্ষিক নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিতের খবরে ক্ষুদ্ধ হয়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে সংগঠনের শ্রমিক ও নেতারা।
হাইকোর্টের এই নির্বাচন স্থগিত নির্দেশ শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নোটিশ সূত্রে জানাযায়, জেলা মটর পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং রাজঃ ২৬৪ ও ২০০০ এর মাঝে দীর্ঘদিনের একটি মামলা চলমান ছিলো।
এর মাঝে হাইকোর্ট ১৭ ফেব্রুয়ারি সেই মামলার রায় প্রদান করেন বিচারক মনোয়ার রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলিরুজ্জামান এর সমন্নয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আর এই রায়ের পর মটর পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি নং রাজঃ ২৬৪) সংবিধান পরিবর্তনের নির্দেশ দেয়া হয়। তবে সংবিধান পরিবর্তন না করেই নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচনের দিন ঠিক করে ২৬৪।
এদিকে সংবিধান পরিবর্তন না করায় ট্রাক ট্যাংকলরী, কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজিঃ নং রাজঃ ২০০০) সভাপতি মো. সাবিরুল ইসলাম হাইকোর্টে আপত্তি জানিয়ে আপিল করলে আদালত ভোট স্থগিত রেখে ১৫ দিনের মধ্যে সংবিধান সংশোধণের নির্দেশ দেয়।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভোট স্থগিতের খবরে পঞ্চগড় জেলা শহর সহ জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা।
পঞ্চগড় ট্রাক ট্যাংকলরী, কাভার্ড ভ্যান, মিনি ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: খন্দকার আব্দুর রশিদ বলেন, সংগঠনের মামলা চলছিলো দীর্ঘদিন ধরে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সেই মামলার রায় হয়। রায় শেষে শ্রমিক ইউনিয়নের সংবিধান সংশোধন করার নির্দেশ দেয়। এদিকে তারা সংবিধান সংশোধন না করেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে আজ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোটে দিন নির্ধারীত করলে সংবিধান পরিবর্তন না করায় ট্রাক ট্যাংকলরী, কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের আদালতে আপত্তি দাখিলে ভোট স্থগিত করার নির্দেশ দেয়া হয়।
এদিকে জেলা মটর পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি নং রাজ ২৬৪ এর নেতা আমিরুল ইসলাম ও আকবর আলী জানান, ২০০০ এর শ্রমিক সংগঠনের জসিম ও খন্দকার রশিদকে যতক্ষণ গ্রেফতার করা হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত পঞ্চগড়ের মাটিতে একটি ও গাড়ীর চাকা ঘুরে না।
আকবর আলী জানান, শনিবার (২৬ ফেব্রয়ারী) আমাদের ভোট। আমাদের ভোট আজকে কেন হবে না। তিনি বলেন হাই কোটের রায় কপি না আসা পর্যন্ত সেটা কখনও গ্রহণযোগ্য হবে না। তা হলে কি করে একটা উকিলের কাগজের কপিতে নির্বাচন বন্ধ করা হয়। উনার কাগজে লেখা রয়েছে স্থগিত। আর আমার কাগজে লেখা রয়েছে ১৭ তারিখে আমাদের হেয়ারিং এ কোন প্রকার আমাদের নির্বাচন স্থগিতের বিষয় কোন লেখা নাই। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের নির্বাচন হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজ পথে আছি।
পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, আমরা ভোট স্থগিতের একটি নোটিশ পেয়েছি। তবে নির্বাচন কতদিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে তা আদালতের রায় পেলে আমরা নিশ্চিত হতে পারবো। রাতে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছে রেখেছে।
জেলা শহরের প্রতিটি পয়েন্টে নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।