Can't found in the image content. ‘প্লাস্টিক চাল’ বিক্রি: প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

‘প্লাস্টিক চাল’ বিক্রি: প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বুধবার, ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২২

‘প্লাস্টিক চাল’ বিক্রি: প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে প্লাস্টিকের চাল বিক্রির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত দিয়েছেন একজন ভোক্তা।

ইউএনও কার্যালয়ে সোমবার জমা পড়া এই অভিযোগ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। প্রাথমিক তদন্তে ওই অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছে প্রশাসন।

অভিযোগকারী হলেন উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের ইলিশকোল গ্রামের সুলতান মাহমুদ। অভিযুক্ত খুচরা বিক্রেতার নাম অরুণ কুন্ডু। তার দাবি, তিনি আব্দুল মান্নান খান নামে একজনের কাছ থেকে চাল পাইকারি কেনেন।

ভোক্তা সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘২০ জানুয়ারি বালিয়াকান্দি বাজারের অরুণের দোকান থেকে ১৬ কেজি বিনা গোল্ড চাল কিনি। ওই চালের ভাতও খেয়েছি। পরশু আমার স্ত্রী পিঠা তৈরি করতে গেলে বাধে বিপত্তি। ব্লেন্ডারে দিলে প্লাস্টিকের দানার মতো তৈরি হলে সন্দেহ হয়। পরে ইউএনওর কাছে অভিযোগ জানাই।’

এ বিষয়ে বিক্রেতা অরুণ বলেন, ‘মান্নানের কাছ থেকে মাস খানেক আগে ১৫ বস্তা বিনা গোল্ড চাল পাইকারি কিনেছি। সুলতান সাহেব আমার কাছ থেকেই চাল নিয়েছিল। আসলে আমি তো খুচরা বিক্রি করি। কীভাবে বুঝব এটায় ভেজাল আছে। প্লাস্টিকের চাল কি না সেটা আমি জানি না।’

তবে আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমি ছয়-সাত বছর ধরে টিসিবির ডিলার। প্রায় পাঁচ-ছয় মাস আগে বেনাপোল থেকে পাঁচ টন চাল সংগ্রহ করি। আমার কাছ থেকে চাল নিয়ে বিক্রি করেন অরুণ। তিনি অন্য ডিলারের কাছ থেকেও চাল কেনেন। আমি টাকা দিয়ে ভালো চাল কিনি, আমার ব্যবসায় সুনাম রয়েছে।’

বালিয়াকান্দি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসিবুল হাসান বলেন, ‘সোমবার অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা বিষয়টি পরীক্ষা করেছি। প্রাথমিক ধারণা, সাধারণ চাল আগুন দিয়ে পোড়ানো হলে তা পুড়ে যায় বা মচমচে ভাজা হয়ে যায়। কিন্তু এই চাল আগুন দেয়ার পর গলে একটি পিণ্ড বা দলার মতো হয়ে যায়।

‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এগুলো প্লাস্টিকের চাল। এরপর অধিকতর পরীক্ষার জন্য তা ঢাকায় পাঠানো হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’