নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পার হলেও এখনও সন্ধান মেলেনি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ সুরভী-৭ এর ধাক্কায় ডুবে যাওয়া এক বাল্কহেড শ্রমিকের।
গত বুধবার রাত পৌঁনে ১১টার দিকে ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায় বালু বোঝাই বাল্কহেডটি। এসময় ডুবে যাওয়া বাল্কহেডে থাকা ৬জনের মধ্য ৫জন সাতঁরে উঠতে পারলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে মোতালেব (৫৫) নামের এক শ্রমিক।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে চলছে উদ্ধার অভিযান। কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা বেলা সাড়ে ১১ থেকে শুরু করে উদ্ধার অভিযান। পরে টানা ২৪ ঘণ্টা উদ্ধার চেষ্টা চলেও সন্ধান মিলেনি নিখোঁজ ওই শ্রমিকের।
এদিকে, নিখোঁজ ওই শ্রমিকের সন্ধান পেতে গভীর রাত থেকেই ঘটনাস্থলে ভিড় করেছেন তার স্বজনরা। স্বজনদের দাবি- জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় হলেও যেন নিখোঁজ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়। নিখোঁজ ওই শ্রমিকের সন্ধান না মেলা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দুপুরে দলের সদস্যরা।
কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মো. জহিরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে, তিনি জানান, ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছিলো যাত্রীবাহী লঞ্চ সুরভী-৭। পথে রাত পৌঁনে ১১টার দিকে লঞ্চটি মেঘনায় চরকিশোরগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে বালুবাহী বাল্কহেডকে সামনে থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাৎক্ষণিকভাবে ৬ শ্রমিকসহ ডুবে যায় নৌযানটি।
তিনি আরও জানান, তাদের মধ্যে ৪ জন সাঁতরে তীরে ও একজন অপর একটি লঞ্চে উঠে যায়। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছে একজন। এ ঘটনায় নিখোঁজ শ্রমিকের সন্ধানে সকাল থেকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। এছাড়াও দুর্ঘটনা কবলি লঞ্চটির সামনের অংশে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটি ঘটনাস্থলে নদীর পাড়ে নোঙর করা রয়েছে।