ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, জুলাই ১, ২০২৪ |

EN

বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা

শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ


নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ১৭, ২০২২

বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা
গাজীপুর কালিয়াকৈর উপজেলায় বেনুপুর বজলুর রহমান উচ্চবিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, ১৯৭৩ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৫ থেকে ২০ বছর আগে নিম্নমানের একটি শহীদ মিনার নির্মাণ হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে তা বিলীন হয়ে যায়। এরপর আর শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে মোটামুটি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও মাতৃভাষা দিবসে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শুধু শহীদ মিনার নেই।

প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফাহাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। স্কুল প্রতিষ্ঠার প্রায় ৫০ বছরেও একটি মানসম্মত শহীদ মিনার নির্মাণ হয়নি। আজ আমরা যে ভাষায় কথা বলি সেই মাতৃভাষাকে বাংলা করতে যারা শহীদ হয়েছিল, আজ তাদের শ্রদ্ধা জানানোর মত কোন শহীদ মিনার নেই। এটি একটি লজ্জাজনক বিষয়। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি মানসম্মত শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

আরেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোঃ ইমরান মাহমূদের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক ও লজ্জার বিষয়। আমাদের সময় অফিস কক্ষের পাশে কোনরকম একটা ভাঙাচোরা একটি শহীদ মিনার ছিল। কিন্তু পরবর্তিতে সেটিও বিলিন হয়ে যায়। আমাদের ছোট ভাই-বোনেরা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবে না, যা খুবই দুঃখজনক। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়ে একটি দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

নবম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলেন, আশেপাশের সব স্কুলেই শহীদ মিনার আছে। তারা মাতৃভাষা দিবসে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারলেও আমরা পারি না। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন তিনি যেন আমাদের স্কুলে একটি শহীদ মিনার বানিয়ে দেন।

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যেই দিবসটিকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, অথচ সেই দিবসে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কোন শহীদ মিনার নেই। এটা খুবই দুঃখজনক বিষয়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি থাকবে অতিদ্রুত যেন বিদ্যালয় কতৃপক্ষ শহীদ মিনার নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ বলেন, আমি বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়েছি। তিনি ইতোমধ্যে একটি দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনারের রেজুলেশন পাশ করে দিয়েছেন। যেকোন সময় ট্রেন্ডার হয়ে যাবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, শহীদ মিনারের রেজুলেশন পাশ হয়ে গেছে। যেকোন সময় ট্রেন্ডার হয়ে যাবে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজও শুরু হয়ে যাবে।