Can't found in the image content. ক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা করায় ইটভাটার জরিমানা | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪ |

EN

ক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা করায় ইটভাটার জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২২

ক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা করায় ইটভাটার জরিমানা
হবিগঞ্জে ক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা করায় ইটভাটাকে জরিমানা করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা এর কার্যালয়ে অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রমাণিত হয় পলাশ ব্রিকস দীর্ঘদিন ধরে ছোট আকারে ইট তৈরি ও বিক্রি করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করছে। এ সময় ছোট সাইজের ইট তৈরির দায়ে পলাশ ব্রিকস ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ভবিষ্যতে যাতে ছোট ইট তৈরি না করে এ ব্যাপারে অঙ্গীকারনামা নেয়া হয়।

সম্প্রতি অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের একটি টিম হবিগঞ্জের বিভিন্ন ইটের ভাটা পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে ওই টিমটি নিশ্চিত হয় যে, ইট ভাটাগুলোতে বিএসটিআই’র নির্দেশনা অনুযায়ী ইট তৈরি করা হচ্ছে না। এ প্রেক্ষিতে ক্রেতা সেজে বাহুবলের মিরপুরের পলাশ ব্রিকস থেকে মেহেদী হাসান কবির নামের এক সাংবাদিক ইট ক্রয় করেন। পরে তিনি ইটের পরিমাণ মাপে দেখেন নিধারিত পরিমাণের চেয়ে ছোট ইট তৈরি করা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে তিনি জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের সহকারি পরিচালকের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।

এর আগে একই অভিযোগে বাহুবল উপজেলার ইন্তাজ ব্রিকসকে ৪০ হাজার, নিউ রিয়াদ ব্রিকসকে ৫০হাজার ও নিউ পদ্মা ব্রিকসকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।

অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা জানান, বিএসটিআইয়ের নির্ধারিত সাইজের ছেয়ে ছোট আকারের ইট তৈরির করার অভিযোগে পলাশ ব্রিকস ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সাংবাদিক মেহেদী হাসান কবির জানান, সাধারণ জনগণ হবিগঞ্জের ইট ভাটাগুলো থেকে ইট ক্রয় করে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। জনগণের পক্ষে আমি ইট ক্রয় নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ অভিযোগ করি। আমার অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রমাণিত হয়েছে পলাশ ব্রিকস বিএসটিআই এর নির্দেশনা মানছে না। শুধুই পলাশ ব্রিকস নয়, অন্যান্য ইটের ভাটাগুলোতেও একই অবস্থা।

অভিযোগ রয়েছে, জেলার ৯৪টি ইটের ভাটার মধ্যে ৪/৫টি ইটের ভাটা ছাড়া বাকি কোনটিই পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই ভাটাগুলোতে ইট তৈরি করা হচ্ছে।

হবিগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, জেলার ৯৪টি ইটের ভাটার মধ্যে ৫/৬টি ইটের ভাটার পরিবেশের ছাড়পত্র রয়েছে। বাকিগুলোর পরিবেশের ছাড়পত্র নেই। এছাড়াও অনেক ভাটায় বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেই। পরিবেশের ছাড়পত্রের জন্য তারা আমাদের কাছ থেকে কিছু দিনের সময় নিয়েছে। এর মধ্যে পরিবেশের ছাত্রপত্রগুলো নবায়ন না করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।