চট্টগ্রাম নগরীর একটি আবাসিক হোটেলে অজ্ঞাতনামা এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে নিয়ে যায় অচেনা এক যুবক। ওই যুবকটিও ভুয়া পরিচয়ে রুম ভাড়া নেয় বলে জানা গেছে।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর বড়পোল এলাকার এক্সেস রোডের একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। গলাকাটা অবস্থায় লাশটি পড়ে ছিল কক্ষের মেঝেতে।
পুলিশ জানায়, হোটেলে রক্ষিত রেজিস্ট্রার ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে মাথায় কান টুপি এবং মাস্ক পরা অবস্থায় একজন এক ব্যক্তি সপ্তম তলায় অবস্থিত হোটেলে এক তরুণীসহ উপস্থিত হয়। তার সঙ্গে তিনটি হাত ব্যাগ ভর্তি মালামাল ছিল।
ফ্রন্ট ডেস্কে কর্মরত হোটেলবয় বেলালের কাছে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রও তারা উপস্থাপন করেন। তাতে নাম কামরুল হাসান (২৩) এবং কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানাধীন মুগজি গ্রামের মো. জামাল হোসেনের ছেলে বলে উল্লেখ রয়েছে। তারা সকাল সাড়ে ৮টায় তারা ওই হোটেলের ৮০২নং কক্ষটি ভাড়া রুমে চলে যান।
পুলিশ জানায়, বিকাল সাড়ে ৫টায় কামরুল হাসান পরিচয়ধারী ওই ব্যক্তি রুমের দরজা লক করে সিঁড়ি দিয়ে নেমে এক্সেস রোড ধরে পায়ে হেঁটে পূর্ব দিকে চলে যায়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হোটেল বয় রুমে গেলে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে রুমের মেঝেতে তরুণী লাশ পড়ে থাকতে দেখে।
হালিশহর থানার এসআই সৈয়দ মাইন উদ্দিন আহমদ ফয়সাল গণমাধ্যমকে জানান, ওই ব্যক্তি ভুয়া পরিচয়ে রুম ভাড়া নিয়ে গলা এবং পেটে ছুরিকাঘাত করে তরুণীকে খুন করে। পরে অন্য পোশাক পরে কক্ষে তালা মেরে পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তরুণীটির পরিচয় ও ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।