রাজশাহীর বাঘায় আশ্রয়হীন রাবেয়া বেওয়া (৬০) নামের এক বিধবা ভিক্ষুকের দায়িত্ব নিয়ে ঘর উপহার দিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান। রোববার (৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে তার নাতীর বাড়ির পাশে একটি নতুন ঘর তৈরী করে সেই ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়। রাবেয়া বেওয়া উপজেলার আমোদপুর গ্রামের মৃত আলীমুদ্দিনের স্ত্রী।
জানা যায়, আশ্রয়হীন বিধবা রাবেয়া বেওয়া স্বামীর মৃত্যুর পর নাতী লালন উদ্দিনের বাড়ির বারান্দায় থাকতেন। সে জীবন যাবনের জন্য এলাকায় ভিক্ষা করতেন। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল করিম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতানকে গল্পের মাধ্যমে অবগত করেন। একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিযে তিনি তার নাতীর বাড়ির পাশে একটি টিনের ঘর তৈরী করে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, রাবেয়া বেওয়ার বিষয়টি জানার পর তার সাথে দেখা করি। পরে জানতে পারি আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে। এমনকি তার মাথা গুজার কোন ঠাঁইও নেই। একমাত্র নাতী লালন উদ্দিনের বারান্দায় থাকেন। তার আয়ের উৎস বলতে ভিক্ষা ও বয়স্ক ভাতার সামান্য টাকা। নাতী লালন উদ্দিনের সাথে কথা বলে তার বাড়ির পাশে সামান্য একটু জায়গায় ঘর তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। একই সাথে প্রতিমাসে খাবারসহ প্রয়োজনীয় খরচ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা নাফিজ শরিফ, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মিলন কুমার দাস, বাজবাঘা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রেজাউল করিম।
আবেগে আফ্লুত হয়ে রাবেয়া বেওয়া জানান কৃষি কর্মকর্তা এমন কাজ করে দিবেন স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। তার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দুই হাত তুলে দোয়া করেছি। তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন আমি আর ভিক্ষা করবো না।
বাজবাঘা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রেজাউল করিম বলেন, আমি নিজেও ভাবতে পারিনি কৃষি কর্মকর্তা এমন কাজ করবেন। তবে বৃত্তশালীরা এমনভাবে সহায়তা করলে সমাজে আর ভিক্ষুক থাকবে না।