শীতের এ সময়ে কুয়াশা ছাড়াও দিনাজপুরে গত ২৪ ঘণ্টার ঝড়ো হাওয়ার সাথে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিতে অনেক মৌমাছি মারা গেছে। এতে মধু সংগ্রহ কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন মৌচাষিরা।
অপরদিকে, বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় সরিষা ক্ষেতেরও ফুল ঝড়ে পড়েছে। এতে ফলনেও প্রভাব পড়তে পারে বলে শঙ্কা করেছেন কৃষকরা।
এই সময়ে দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলের সরিষার ক্ষেতজুড়ে হলুদের সমারোহ। এ সরিষা ক্ষেতে মধু সংগ্রহ করে লাভবান হচ্ছেন মৌচাষিরা। অন্যদিকে, মৌমাছির মাধ্যমে ফুলে ফুলে পরাগায়ন ঘটায় সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করেন কৃষকরা। সরিষা ক্ষেতে কৃষক ও মৌচাষি উভয়ই লাভবান হয়ে থাকেন। কিন্তু মাঘের হাড় কাঁপানো শীতের এই সময়ে (গত ২৪ ঘণ্টায়) ঝড়ো হাওয়ার সাথে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতে সরিষা ক্ষেতের ফুল ঝড়ে পড়ে এবং মৌচাষিদের মৌমাছি মারা যায়। এতে সরিষা চাষি ও মৌচাষিরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে জানান তারা।
সরিষার ক্ষেতে মৌমাছির বক্স বসিয়ে মধু আহরণ করছেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জের মৌচাষি মোসাদ্দেক হোসেন। বীরগঞ্জের নিজপাড়া ইউপির বিলপাড়া এলাকার সরিষার ক্ষেতে ১০০টি মৌমাছির বক্স বসিয়ে মধু আহরণ করছেন তিনি। তার সাথে আরও ৫ জন তরুণ এই মধু সংগ্রহের কাজে রয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়ে সবাই চিন্তিত।
বিলপাড়ার সরিষা চাষি দুলাল চন্দ্রসহ কয়েকজন জানায়, অসময়ের ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টিতে অনেক সরিষার ফুল ঝড়ে পড়েছে। অনেক গাছও পড়ে গেছে। এতে ফলন কম যেতে পারে। ফলন ভাল হলেও ঝড়ো আর বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মৌচাষি মোসাদ্দেক হোসেন জানান, বীরগঞ্জের নিজপাড়া ইউপিতে সরিষার ক্ষেতে ১০০টি বক্স স্থাপন করেছেন। বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে শনিবার ভোর রাত পর্যন্ত এক নাগারে শীতের এ সময়ে ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে অনেকের মৌ বক্স পড়ে যায়। এতে অনেক মৌমাছি মারা গেছে। আর মধু উৎপাদন একেবারে কমে যায়। এতে অনেক ক্ষতি হয়েছে। জেলায় ৩০ জনের অধিক মৌচাষি বিভিন্ন স্থানে মৌবক্স বসিয়েছেন। কিন্তু সবাই ক্ষতির মুখে পড়েছে। এতে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।