জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১৯, ২০২১
বরিশাল
সদরের ইউএনও’র বাসভবনে হামলা ও পুলিশ-আনসার এবং ছাত্র-যুব ও আওয়ামী লীগ
নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে
পড়েছিল। এনিয়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মাঝে চরম আকারে ক্ষোভ তৈরি হয়ে শহরময় উত্তেজনা
ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু সিটি মেয়র মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, আমি গুলিবিদ্ধ হইনি,
যে খবর খবর ছড়ানো হচ্ছে তা সত্য নয়। সংঘর্ষের দিন অর্থাৎ বুধবার গভীর রাতে মেয়র তার
নিজ বাসভবনে বসে সাংবাদিকদের এমনটি জানিয়েছেন।
এর
আগে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিটি কর্পোরেশনের লোকজনসহ কয়েক ছাত্র-যুব ও আ’লীগ
নেতা বরিশাল সদর উপজেলা চত্ত্বরে প্রবেশ করে ১৫ আগস্ট উপলক্ষে টাঙানো ব্যানার উচ্ছেদ
শুরু করার চেষ্টা করেন। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত আনসার সদস্যরা বিষয়টি নির্বাহী কর্মকর্তা
(ইউএনও) মনিবুর রহমান অবহিত করলে তিনি বলেন, এখন অনেক রাত কাল বৃহস্পতিবার সকালে উচ্ছেদ
করবেন। এনিয়ে ইউএনও’র সাথে আ’লীগ
নেতাকর্মীদের বাকবিতন্ডা হয়। এসময় ছাত্র-যুব ও আ’লীগ নেতাকর্মীরা ইউএনও’র
বাসভবনে প্রবেশ করে তাকে গালিগালাজসহ দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। তখন আনসার সদস্যরা ধাওয়া
দিয়ে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহামুদ বাবুকে আটক করে।
খবর
পেয়ে সিটি মেয়র সেখানে ছুটে গেলে ছাত্র-যুব ও আ’লীগ নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার
কার্যালয়ের মূলফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে আনসার সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গুলি
ছোড়ে। এতে কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম খোকনসহ কয়েকজন গুলিব্ধি হন। এই সময় খবর ছড়িয়ে পড়ে
মেয়রও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে এই খবর নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। পরে গভীর
রাতে মেয়র নিজেই মিডিয়াকে জানিয়েছেন তিনি গুলিবিদ্ধ হননি।
রাতের
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউএনও’র কার্যালয়ের সামনে সিঅ্যান্ডবি রোডে
সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি দিয়ে ময়লা ফেলে রাখা হয়েছে। এবং বরিশাল থেকে সব ধরনের বাস চলাচল
বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আপাতত
পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও নগরীজুড়ে র্যাব-পুলিশ সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।’