টেকনাফে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর প্রিজন ভ্যানে ঢিল মারায় আব্দুল বারেক টিপুকে (৩২) আটক করে পুলিশ।
সোমবার বিকাল ৫টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
আব্দুল বারেক টিপু কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার ডুলাহাজারা এলাকার আবু তাহেরের ছেলে।
তখন প্রিজন ভ্যানে ছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
খালাস পাওয়া বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, বরখাস্ত বরখাস্ত এপিবিএনের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ।
আটকের বিষয়ে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী বলেন, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ডের খবরে আদালত চত্বরে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এসময় ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ আসামিদের প্রিজন ভ্যানে করে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রিজন ভ্যানে টিপু নামে এক যুবক মিষ্টি ছুড়ে মারে। তখন পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম বলেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামিদের আদালত থেকে কারাগারে পাঠানোর সময় প্রিজন ভ্যানে ঢিল মারার কারণে আব্দুল বারেক টিপু নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছিল। সোমবার রাতে এ ধরনের কাজ আর কোনো দিন করবে না বলে মুচলেকা নিয়ে টিপুকে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।