ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, অক্টোবর ২০, ২০২৪ |

EN

শুরু থেকেই সিনহা হত্যাকাণ্ড নিয়ে খটকা লেগেছিল: বিচারক

বিশেষ প্রতিবেদক | আপডেট: মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারী ১, ২০২২

শুরু থেকেই সিনহা হত্যাকাণ্ড নিয়ে খটকা লেগেছিল: বিচারক
হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করেছি শুরু থেকেই। কেননা আমার মনে খটকা লেগেছিল, সিনহার পরিচয় জানার পর স্যালুট দিয়েছিলেন চেকপোস্টে থাকা সদস্যরা। এর একটু পর তাঁরাই কেন আবার গুলি করতে সহযোগিতা করলেন-রায়ের সারসংক্ষেপ পড়ার সময় একথা বলেন বিচারক।

এর আগে বেলা ২টা ২০ মিনিটে এজলাসে উপস্থিত হয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাঈল ৩০০ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ পড়া শুরু করেন।

এর আগে, সকালে এই মামলার সকল আসামিকে আদালতে আনার কথা থাকলেও পরে তা পরিবর্তন করা হয়। পরে দুপুর ১টা ৫৭ মিনিটের দিকে আসামিদের আদালতে আনা হয়। তাঁদের আদালতের কাঠগড়ায় নেওয়া হয়। সাবেক ওসি প্রদীপ আদালতে উপস্থিত হয়েছেন ধূসর রঙের সোয়েটার আর নেভী ব্লু রংয়ের প্যান্ট পরে। এজলাসের এক কোণে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।

রায়কে কেন্দ্র করে আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রায় শুনতে আদালতে রয়েছে উৎসুক জনতার ভিড়। তাঁদের বেশিরভাগই টেকনাফের বাসিন্দা।

এদিকে সাবেক ওসি প্রদীপের ফাঁসির দাবিতে সকাল থেকেই আদালত চত্বরে মানববন্ধন করছেন টেকনাফের সাধারণ মানুষজন। 

আদালত পাড়ায় সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ৮টার দিকে প্রায় শতাধিক পুলিশ সদস্য জজ কোর্ট এলাকার চারদিকে প্রতিবন্ধকতা (ব্যারিকেড) দিয়ে রাখেন। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলা পুলিশ আদালতে প্রবেশের একটি ফটক পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। পরে ঠিক নয়টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্ব সদস্যরা আদালত ছাড়েন। 

পরে আবার বেলা ১টা থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বেলা দেড়টায় হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দিয়ে মিডিয়াকর্মী ছাড়া বাকিদের আদালত প্রাঙ্গণ ছেড়ে যেতে অনুরোধ করেন। 

গত বছর ২৭ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে এ হত্যা মামলাটির বিচারকাজ শুরু হয়। ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি সর্বশেষ দুই পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ রায়ের দিন নির্ধারণ করেন বিচারক।