ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

শরীয়তপুরে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক সংকটে ভেঙ্গে পড়ছে শিক্ষা ব্যবস্থা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ২০, ২০২২

শরীয়তপুরে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক সংকটে ভেঙ্গে পড়ছে শিক্ষা ব্যবস্থা
শরীয়তপুর জেলা হেড কোয়াটারে একমাত্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি চলছে বিজ্ঞান শিক্ষক ছাড়া। পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারী (বালক) বিদ্যালয়েও নেই ভূগোল, চারুকলা, গণিত শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক নেই কোন বিদ্যালয়েই। নেই জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক অফিসারও। এক কথায় ভাড়াটিয়া এবং জোড়াতালি দিয়েই চলছে শরীয়তপুরের শিক্ষা কার্যক্রম। ভেঙ্গে পড়ছে জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা।

শরীয়তপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রভাতী ও দিবা শাখায় শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। দুই শাখা মিলে একজন প্রধান শিক্ষক, দুইজন সহকারী প্রধান শিক্ষক ও ৫০ জন শিক্ষকের পদ রয়েছে। মোট ৫৩টি পদের বিপরীতে এই বিদ্যালয়ে রয়েছে দুইজন সহকারী প্রধান শিক্ষক ও ১৫ জন সহকারী শিক্ষক। এদের মধ্যে কোন বিজ্ঞান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। মাউশি বিজ্ঞান শিক্ষক দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে বলে এবারও বিজ্ঞান শাখায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে সমান সংখ্যক শিক্ষকের মধ্যে গণিত, ভূগোল ও চারুকলা বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নেই। এই বিদ্যালয়েও ৫৩ জন শিক্ষকের বিপরীতে প্রধান শিক্ষক সহ শূণ্য রয়েছে ১৫টি পদ।

ইংরেজী নতুন বছরের শুরুতেই উভয় বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হাতে পূর্ণাঙ্গ ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে আংশিক বই তুলে দিয়ে রুটিন মাফিক পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেছে। দশম শেণির পুরাতন ও নতুন শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে দুই দিন করে এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন করে ক্লাস রাখা হয়েছে রুটিনে। শিক্ষক সংকটে ক্লাস রুটিন ও পাঠদান ব্যহত হচ্ছে।

সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানায়, বিজ্ঞান শিক্ষক না থাকায় তাদের ভোগান্তি বেড়েছে। অন্য স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষকের কাছে তাদের ধরণা ধরতে হয়। মেয়েকে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি করে বিপাকে পড়া অভিভাবকবৃন্দ জনায়, জেলার একমাত্র সরকারি বিদ্যালয়ে মেয়েকে পড়াতে গিয়ে বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে। বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান শিক্ষক নেই। তাই অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক বা গৃহ শিক্ষক নির্ভরশীল হতে হয় তাদের।

শরীয়তপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মাউশিতে শিক্ষকের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। মাউশি শিক্ষক দেই দিচ্ছি বলে আশ্বস্ত করেছে। তাই বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি করেছি। এখন জোড়াতালি দিয়ে বিদ্যালয় চালাচ্ছি।

জেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার ও পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. এমারত হোসেন বলেন, একজন শিক্ষক ৩টি ক্লাস নিয়েই হাপিয়ে যায়। তার পরেও শিক্ষকদের ৫ টি ক্লাস নিতে বাধ্য করা হয়। বালিকা বিদ্যালয়ের অবস্থা আরো বেশী খারাপ। নতুন শিক্ষক না আসা পর্যন্ত এই সংকট কাটার সম্ভাবনা নাই।