বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন এক দম্পতি।
তারা হলেন- সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বেলাল (আনারস) ও তার স্ত্রী রোখসানা বেগম (চশমা)।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, কোনো কারণে স্বামীর প্রার্থিতা বাতিল হলে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তবে শেষ পর্যন্ত স্ত্রী প্রার্থী থাকলেও সেভাবে মাঠে নেই।
ভোটাররা বলছেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকার প্রার্থী মাহবুবুল আলম বুলুর সঙ্গে বিএনপি ঘরানার বেলালের সঙ্গে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোনাতলা সদর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম বুলুকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে।
আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বেলাল ও তার স্ত্রী রোখসানা বেগম। কোনো কারণে বেলালের মনোনয়ন বাতিল হলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহবুবুল আলম বুলু বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হবেন। তাই বেলাল দলীয় নেতাদের পরামর্শে তার স্ত্রী রোখসানা বেগমকে প্রার্থী করেছেন।
তবে গত ১৪ জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে অন্যরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও বুলু এবং বেলালের সঙ্গে তার স্ত্রীও থেকে যান।
এদিকে নির্বাচনি এলাকায় বুলুর নৌকা ও বেলালের আনারস মার্কার পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেছে। মাইকিং করে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু রোকসানা বেগমের চশমা মার্কার কোনো প্রচার নেই। তার কোনো পোস্টারও লাগানো হয়নি।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকির হোসেন বেলাল বলেন, ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার সবার আছে। তাই তার স্ত্রীও প্রার্থী হয়েছেন। জনগণ জনপ্রিয়তা ও যোগ্যতা বিবেচনা করে ভোট দিয়ে একজনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন।
স্বামী-স্ত্রী চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে কীভাবে ভোট চাইছেন- এ প্রসঙ্গে বেলাল জানান, নৌকার প্রার্থী এলাকায় তার সম্পর্কে নানা গুজব ছড়াচ্ছেন। প্রতিপক্ষ যদি তাকে হয়রানি বা নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠায়, সেক্ষেত্রে তার স্ত্রী রোকসানা যেন ভোট করতে পারেন। আর এটা আমার নির্বাচনী কৌশলও মনে করতে পারেন।
রোকসানা বেগম বলেন, ইউনিয়নবাসী আমার স্বামীর মতো আমাকেও ভালোবাসেন। তাই দুজন প্রার্থী হয়েছি। জনগণ যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন তিনিই চেয়ারম্যান হবেন।
পোস্টার ও প্রচারে না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পোস্টার-ব্যানার ছাপানোর অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
নৌকার প্রার্থী মাহবুবুল আলম বুলু বলেন, তিনি গত পাঁচ বছর দলমত নির্বিশেষে এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছেন। এবার নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ ও নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেবেন।
সোনাতলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফ আলী জানান, চেয়ারম্যান পদে এক দম্পতিসহ তিনজন প্রার্থী হয়েছেন। ষষ্ঠ ধাপে আগামী ৩১ জানুয়ারি ভোট হবে।