ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

তাঁতের বাহারী ডিজাইনে শীতের শাল চাদর

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: মঙ্গলবার, জানুয়ারী ১৮, ২০২২

তাঁতের বাহারী ডিজাইনে শীতের শাল চাদর
জেলার দেলদুয়ারে শাল তৈরীর কর্মযজ্ঞে এখন মহাব্যস্ত এ শিল্পের সাথে জড়িত মালিক-শ্রমিকরা। 

তাঁতের শাড়ীর পাশাপাশী দিন-দিন জনপ্রিয় হচ্ছে শাল চাদর। তাঁতে তৈরী বাহারী ডিজাইন আর নিঁপুণ কারুকার্যে আর্কষণীয় শীতের পোশাক শাল-চাদর প্রায় সব বয়সের নারী-পুরুষের পছন্দ। তাঁতে তৈরী এসব শাল-চাদর পৌঁছে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার শো-রুমগুলোতে। 

হিমেল ঠান্ডা বাতাসে শরীর গরম রাখতে সব বয়সী মানুষের প্রয়োজন শীতের পোশাক। শীতে সব বয়সী নারী-পুরুষের মনে স্থান করে নিয়েছে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আবাদপুর গ্রামের তাঁতে তৈরী শাল-চাদর। 

এ অঞ্চলের শাল-চাদরের বৈশিষ্ট্য হল বাহারি রঙের সুতা দিয়ে হাত ও তাঁতকলে আর্কষণীয় ডিজাইনের কারুকার্যে তৈরি করা হয়। দুই/আড়াই হাত প্রস্ত এবং চার/পাঁচ হাত দৈর্ঘে তৈরি হয় শাল চাদর। বর্তমানে ফ্যাশান উপযোগী করে এ শাল-চাদর তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান কারিগররা। 

এছাড়া জেলার বাসাইল, কালিহাতী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন তাঁতপল্লীতেও শাল-চাদর তৈরি হয়। এ অঞ্চলের সহ¯্রাধিক পরিবার শাল-চাদর তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
 
তাঁত মালিক-শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সারা বছর শাড়ীর পাশাপাশি শাল-চাদর তৈরী করলেও হেমন্তের শুরুর আগ থেকে মধ্য শীত পর্যন্ত তারা বেশী পরিমানে শাল-চাদর তৈরী করেন। তাঁত শ্রমিকরা জানান, একজন শ্রমিক দিনে ৩/৪ টা শাল-চাদর তৈরী করেন। এতে যা মুজুরী পান তাতে কোন রকমে তাদের সংসার চলে। 

তাঁত মালিকরা জানান, সুতাসহ অন্যান্য উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির কারণে তাদের শাল-চাদর তৈরীর প্রধান প্রতিবন্ধকতা। অল্প পুঁজি নিয়ে তারা শাল-চাদর তৈরী করছেন। এ অঞ্চলে তৈরী ফ্যাশনেবল শাল-চাদর ইতিমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চলে গেছে বিক্রির জন্য। 

টাঙ্গাইল তাঁত বোর্ডের লিয়াজোঁ অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন, তাঁতে তৈরী শাড়ির পাশাপাশি শাল-চাদর শিল্পটির সম্প্রসারণের জন্য কাজ করছে জেলা তাঁত বোর্ড। সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা, সরকারি-বেসরকারী প্রণোদনার পরিধি আরো বাড়ানো এবং সরকারিভাবে শীত প্রধান দেশগুলোতে ব্যাপকহারে শাল-চাদর রফতানীর উদ্যোগ নেয়া গেলে আরো অনেকদূর এগিয়ে যাবে এ শিল্প।
বাসস