ঝালকাঠি প্রেসক্লাব নির্বাচনে নির্বাহী সদস্য প্রার্থী (বিদায়ী সভাপতি) চিত্ত রঞ্জন দত্তের প্রার্থীতার বৈধতা নিয়ে অভিযোগ তুলেছে সাধারন সম্পাদক প্রার্থী হাসনাইন তালুকদার দিবস।
ঝালকাঠি বার্তা পত্রিকার ভূয়া পরিচয় প্রমানের পরেও নির্বাচন পরিচালক রহস্যজনক ভাবে তাকে বৈধ ঘোষনা করায় এবার তার মিডিয়া দৈনিক রুপালীর পরিচয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে ১৬ জানুয়ারী এক লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এতে প্রেসক্লাবের সুনাম রক্ষা ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে চিত্ত রঞ্জন দত্তের উল্লেখিত মিডিয়া দৈনিক রুপালীর নিয়োগপত্র যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তিনি নির্বাচন পরিচালক আনোয়ার হোসেন আনুকে অনুরোধ জানান।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, প্রেসক্লাব নির্বাচনের পরিচালক আনোয়ার হোসেন আনু প্রেসক্লাবের ১১টি নির্বাহী পদের বিপরীতে ১৫জনের নামোল্লেখ করে গত ৮ জানুয়ারী চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় প্রকাশ করেন। সেদিন প্রার্থীতা যাচাই-বাছাই শেষে প্রেসক্লাব সদস্য দৈনিক ঝালকাঠি বার্তা সম্পাদক মাহাবুবুল আলমের আপত্তির বিষয় নিশ্চিত হয়ে তিনি বিদায়ী সভাপতি চিত্ত রঞ্জন দত্তকে তার উল্লেখিত মিডিয়ার স্থলে দৈনিক রুপালী পত্রিকার নাম দিয়ে বৈধ প্রার্থী ঘোষনা করেন।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, দৈনিক রুপালী পত্রিকার বর্তমান প্রকাশক-সম্পাদকের বরাত দিয়ে ‘ঝালকাঠিতে তাদের নিয়োগপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধি নেই’ বলে বিভিন্ন সংবাদপত্রে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হলে ঐতিহ্যবাহী প্রেসক্লাবের নির্বাচন জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
এছাড়া নির্বাচনের পরিচালক গত ৮ জানুয়ারী যাচাই-বাছাইকালে চিত্ত রঞ্জন দত্তের মিডিয়া পরিচয়ের স্থানে দৈনিক রুপালী উল্লেখ করলেও তার বৈধ নিয়োগপত্র বা পরিচয়পত্র কোনটাই যাচাই করেনি।
এ অবস্থায় বৈধ নির্বাহী সদস্য প্রার্থী ঘোষিত (বিদায়ী সভাপতি) চিত্ত রঞ্জন দত্তের মিডিয়া দৈনিক রুপালীর পরিচয় অবৈধ প্রতিয়মান হওয়ায় বিষয়টি যাচাই-বাছাই পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন এবং গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে সদস্যদের অবগত করার জন্য নির্বাচন পরিচালককে এলিখিত অনুরোধ করা হয়।
এ ব্যাপারে নির্বাচন পরিচালক আনোয়ার হোসেন আনুর বক্তব্য জানতে কয়েকবার ফোন করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে ইতিপূর্বে তিনি প্রেসক্লাব সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক স্বাক্ষরিত চুরান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজন করেন বলে সাংবাদিকদের জানান।তাছাড়া চিত্ত দত্ত সিনিয়র মানুষ তাই তার দৈনিক রুপালীর বৈধ পরিচয়পত্র বা নিয়োগপত্র দেখতে চায়নি বলে স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে নির্বাহী সদস্য প্রার্থী (বিদায়ী সভাপতি) চিত্ত রঞ্জন দত্তের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি আপাতত কোন মতামত দিবন না বলে জানান। কারন এ প্রসঙ্গে চিঠি চালাচালি হয়ে গেছে। আমার বক্তব্য পরে জানাব বলে দায় এড়িয়ে মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
প্রসঙ্গত, বিদায়ী সভাপতি (নির্বাহী সদস্য প্রার্থী) চিত্ত রঞ্জন দত্ত ও বিদায়ী সাধারন সম্পাদক (বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় সহসভাপতি) আক্কাস সিকদার গত কয়েক বছর ধরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবকে তাদের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন কি তারা গঠনতন্ত্র লংঘন করে বৈধ-অবৈধ উপায়ে তাদের অনুগত সদস্যদের মাধ্যমে প্রেসক্লাবে ব্যক্তিগত আধিপত্য বজায় রেখে ফায়দা হাসিল করে আসছে বলে স্থানীয় সাংবাদিক মহলে সুষ্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে।