জেলার উপকূলীয় মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ বেহুন্দি ও অনান্য জাল নির্মূলে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চলছে। মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে ১৪ জানুয়ারি থেকে এ অভিযান শুরু হয়ে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর থেকে চলতি মাসের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ধাপের অভিযান সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের অভিযানে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়েছে এক লাখ ৪ হাজার ৭’শ মিটার। বেহুন্দি জাল ১’শ ৫১ টি। চরঘেরা, জগৎ বেড় জাল, পাইজাল, মশারী, ধরা জালসহ মোট ৬২টি জাল জব্দ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যা পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে।
মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, এ সময়ে জেলার ৭ উপজেলায় ১৩ টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৪০ টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। ২ টি মামলায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়েছে ৩ মেট্রিকটন ৭৯০ কেজি ও অন্যান্য মাছ ৪০০ কেজি। যা অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া প্রথম ধাপে ২৩ টি মোবাইল কোর্টের ৮৫টি অভিযানে ২ লাখ ১১ হাজার ৫০০ মিটার জাল উদ্ধার করা হয়েছে। একইসাথে বেহুন্দি জাল ৩৮৮ টি ও অন্যান্য জাল উদ্ধার হয়েছে ১৫৮টি। এসময় ৫টি মামলায় ২ জেলের জেল ও জরিমানা করা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। জাটকা উদ্ধার হয়েছে ৩০০ কেজি ও অনান্য মাছ ৪৫২ কেজি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজাহারুল ইসলাম বাসস’কে জানান, এ সময়টাতে মূলত নদীতে জাটকা ইলিশসহ ছোট মাছ বেশি থাকে। বিশেষ করে বেহুন্দি,মশারী, চরঘেরা জালে মাছের ডিম, অতি ছোট মাছসহ যা ঢোকে সব আটকা পড়ে যায়। প্রচুর ক্ষতি করে মৎস্য সম্পদের। তাই এসব মাছ রক্ষা ও উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্যই আমাদের এ বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরো জানান, মোট ৪টি ধাপে ৩০ দিনের বিশেষ এ অভিযান চলবে। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ধাপের অপারেশন চলছে। তৃতীয় ধাপ শুরু হবে ২৮ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর পরে ৭ দিন বন্ধ থেকে আরো ৮ দিনের অপারেশন চলবে। পাশাপাশি জাটকা ইলিশ রক্ষায় আমাদের অভিযান ও অব্যাহত রয়েছে।