দেশজুড়ে তুমুল আলোচিত ও সমালোচিত অভিনেত্রী পরীমনির বনানীর বাসা থেকে গত বছরের আগস্টে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাড়ে ১৮ লিটার মদ জব্দ করে র্যাব।
পুলিশ জানিয়েছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে বিদেশি মদপানের অনুমতি নিয়েছিলেন পরীমনি। যদিও তার অনুমতিপত্রের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল ২০২০ সালের ৩০ জুন। পরে তিনি আর এর মেয়াদ বাড়াননি। যে কারণে পরীমনির বাসায় জব্দ মদের বোতলগুলো তিনি কোথা থেকে সংগ্রহ করেছিলেন তা জানা যায়নি।
মামলার অভিযোগপত্রে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে পরীমনি বাসায় জব্দ ১৮ লিটার মদের রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদনও আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রের খবর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাসায়নিক পরীক্ষার সেই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জব্দ হওয়া এসব মদে অ্যালকোহলের পরিমাণ ছিল ১১ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত।
যদিও মামলায় এর কয়েক গুণ অ্যালকোহল থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।
বনানী থানায় দায়ের হওয়া মাদক মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পরীমনির বাসায় থেকে ৮ বোতল জনি ওয়াকার প্লাটিনাম লেবেল ব্লেন্ডেড স্কচ হুইস্কি, তিন বোতল জনি ওয়াকার ব্ল্যাক লেবেল ব্লেন্ডেড স্কচ হুইস্কি, দুই বোতল শিভাস রিগ্যাল ব্লেন্ডেড স্কচ হুইস্কি, দুই বোতল দ্য গ্লেন লিভেট, একটি বোতলে গ্লেনফিডিক এবং দুটি বোতলে ফক্স গ্রোভ জব্দ করা হয়। এসব পানীয়র বোতলের গায়ে অ্যালকোহলের মাত্রা লেখা ছিল ৪০ থেকে ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা বলেন, মদে অ্যালকোহলের পরিমাণ নির্ধারণের পরীক্ষা করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সেদিন রাতে জব্দ হওয়া ফোন, ল্যাপটপ, আইপ্যাড, মেমোরি কার্ড, মডেম মাদক মামলায় কী কাজে এসেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এসব জবাব এখন দিতে পারব না।’
প্রসঙ্গত, গত বছর ৪ আগস্ট বনানীর ১২ নম্বর রোডে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে বিদেশি মদ ও মাদক জব্দের কথা জানায় র্যাব।
এ নায়িকার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা দেয় র্যা ব। এ মামলায় পর দিন চার দিনের, ১০ আগস্ট দুদিনের এবং ১৯ আগস্ট একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট পরীমনিকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১ সেপ্টেম্বর জামিনে কাশিমপুর মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান পরীমনি।