উপজেলার আ'লীগের সহ-সভাপতি সিআইপি লিটনের সেক্স কেলেংকারীর রগরগে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার আ'লীগের সহ-সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম লিটনের বিচরের দাবীতে পোষ্টারিং ও মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সারে ১২টার দিকে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে উপজেলা প্রেসক্লাব চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় আ'লীগের নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ গ্রহন করেন।
অন্যদিকে উপজেলার আ'লীগের সহ-সভাপতি সিআইপি লিটনের বহিষ্কার দাবী করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বরাবরে স্থানীয় আ'লীগের সকল ইউনিয়নের সভাপতি ও সম্পাদকদের স্বাক্ষরিত লিখিত আবেদনসহ উপজেলা জুড়ে একাধিক পোষ্টার ছড়িয়ে পড়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা জয়রাম তেওয়ারী, যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম, আবু সালেহ্ প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রফিকুল ইসলাম লিটনের অসামাজিক কার্যকলাপের ভিডিও সামাজকি যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরায় দলের ভাবমুর্তি নষ্ট হয়েছে। তাই দলের স্বার্থে লিটনকে দল থেকে আজীবন বহিস্কার করা প্রয়োজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সুত্র জানায়, উপজেলার আ'লীগের সহ-সভাপতি সিআইপি লিটন পর্নগ্রাফি ব্যবসা করেন এবং এসব পর্নগ্রাফি পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র গনচীনসহ বিভিন্ন দেশে বিক্রি হয়। এসব কালো টাকা সাদা করতে এগুলো তিনি তার ব্যবসায়িক এবং রাজনৈতিক কাজে খরচ করেন।
রাজাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সুত্রে জানা গেছে, সংগঠনের আর্থিক সাপোর্টের জন্যই সিআইপি লিটনকে উপজেলা যুবদলের সাবেক নেতা জানা সত্বেও উপজেলার আ'লীগের সহ-সভাপতি পদ দেয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম লিটনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি-সম্পাদক বরাবরে রাজাপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সম্পাদকবৃন্দ আবেদন করেন।
এ ব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়া হায়দার খান লিটন বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। ভিডিওটি দেশের বাইরের হওয়ায় ভিকটিমের পক্ষ থেকে আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। কারও অপকর্মের দায়িত্ব দল নেবেনা। এব্যাপারে জেলা আওয়ামীলীগ যে কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করতে পারেন।
প্রসঙ্গত রাজাপুর উপজেলা আ’লীগের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম লিটনের সাথে এক নারীর অশ্লীল ভিডিও গত দুই সপ্তাহ ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের মোবাইল ম্যাসেঞ্জার, ইমো ও ফেসবুকে ভাইরাল হলে দলীয় কর্মী সমার্থক সহ সাধারণ মানুষের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, চায়ের দোকানে মুখরোচক আলোচনার সৃষ্টি ও উপজেলা জুড়ে পোষ্টার লিফলেট টানানো হয়েছে।
এ নিয়ে পুটিয়াখালী গ্রামে সিআইপি লিটনের বড় ভাই ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন তার প্রতিপক্ষ সাবেক ইউপি সদস্য মো. ফারুক মোল্লাকে গত ১ জানুয়ারী শুক্রবার হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করলে সে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সিআইপি লিটন উপজেলার পুটিয়াখালী এলাকার মোজাম্মেল হকের ৩য় পুত্র এবং গালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া পারভেজ’র ছোট ভগ্নিপতি বলে জানা গেছে ।
এ বিষয়ে উপজেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম লিটনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার বড়ভাই ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, রাজনীতিতে আগাইয়া গেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে পারে এমন সংবাদে তার বিরোধী পক্ষ বর্তমান এমপি, কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনির, ভাইস চেয়ারম্যান আফরেজা আক্তার লাইজুর সমর্থকরা এসব ছড়াচ্ছেন।