ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

কাউন্সিলর হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, আগস্ট ১৫, ২০২১

কাউন্সিলর হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও হ্যন্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হুমায়ুন কবির খান'কে কুপিয়ে এক হাত কর্তনসহ হত্যা চেষ্টার ঘটনায় ঝালকাঠি থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ১৩ আগষ্ট হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী রুমা বেগম বাদী হয়ে তার স্বামীকে খুন করার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ এনে এ মামলা করেন। মামলায় ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল শরীফের ৩ আপন ভাই, ৩ চাচতো ভাই, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কুদ্দুস হাওলাদারের ২ ছেলেসহ ১৪ জনকে আসামী করা হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার রাতে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে চিকিৎসকরা হুমায়ুন কবিরের বাম হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করেছে বলে তাঁর পরিবার জানিয়েছে।

অপরদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সদার মো. শাহআলম এবং সাধারণ সম্পদক খান সাইফুল্লাহ পনির পৌর কাউন্সিলর মো. হুমায়ুন কবির খানের উপর দূর্বৃত্তদের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। মো. হুমায়ুন কবির খান পৌসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের ৫ বারের কাউন্সিলর, ওই ওয়ার্ড আলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি।

মামলার বাদী কাউন্সিলর হুমায়ুনের স্ত্রী রুমা বেগম তাঁর এজাহারে উল্লেখ করেন, কাউন্সিলর হুমায়ুন কবিরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে জামাল শরীফ ও তাঁর ছোট দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে আসামীরা এলোপাতারি ভাবে কুপিয়ে জখম করে। তারা চাইনীজ কুড়াল দিয়ে বা হাতের কব্জিতে কোপ দেয়। এছাড়াও ধারালো দা দিয়ে মাথার পিছনেসহ শরীলের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। বাদী এজাহারে আরো উল্লেখ করেন তার স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে পিটিয়ে বাদীর পা ভেঙ্গে বাসায় ভাংচুর করে।

ঢাকায় অবস্থান করা কাউন্সিলর হুমায়ুনের মেঝ ভাই সাবেক কাউন্সিলর শাহআলম খান চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বলেন, আমার ভাইয়ের বাম হাতের কবজি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন করার পরে তাঁর জ্ঞান এখনো ফেরেনি। তাঁর মাথায় দুটি, ঘাড়ে দুটি, গালে ১টিসহ শরীরে ৮/১০টি ধারালো অস্ত্রের কোপের ক্ষত রয়েছে।

এ বিষয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. কামাল শরীফ বলেন, এ মামলায় আমার ভাইদের ষড়যন্ত্র মূলভাবে আসামী করা হয়েছে। ঘটনার সময় তাঁরা এলাকায় ছিলনা। ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান বলেন, মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনা সঠিক তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

গত ১২ আগষ্ট রাত সাড়ে ১০ টার দিকে শহরের অতুল মাঝির খেয়া পার হয়ে ঝালকাঠির পালবাড়ী সড়কে বাসায় আসার পথে দুর্বৃত্তরা হুমায়ুনের উপর আকস্মিক হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়।