ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

নির্বাচনে হারায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শুক্রবার, জানুয়ারী ৭, ২০২২

নির্বাচনে হারায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের গোয়ালগাঁও গ্রামে সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থককে গলা কেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়নটি থেকে পরাজিত আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুল হক মিঠুর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় আমান উল্লাহ (৫০) নামে এক সমর্থককে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। আহত আমান উল্লাহ গোয়ালগাঁও গ্রামের মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে। এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ইব্রাহিম (৩৫) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আহত আমান উল্লাহ ছেলে শাহ আলম বলেন, তার বাবা হোসেন্দী ইউনিয়ন থেকে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী আক্তার হোসেনের কর্মী ছিলেন। গতকাল নির্বাচনে আক্তার হোসেন বিজয়ী হওয়ায় তিনি আক্তার হোসেনকে শুভেচ্ছা জানাতেও গিয়েছিলেন। তবে পরাজয়ের পর থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মনিরুল হক মিঠুর সমর্থকরা। 
এদিকে আজ সকাল ১০টার দিকে মিঠুর সমর্থকরা হামলা চালায় তাদের বাড়িতে। তার বাবা দৌড়ে তার চাচার বাড়িতে ঢুকে বাঁচার চেষ্টা করলেও তা পারেননি। সন্ত্রাসীরা সেখানে ঢুকেই এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে গলা কেটে তাকে রেখে যায়। তার গলায়, ঘাড়ে, পেটসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ইউনিয়ন থেকে সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান হাজী আক্তার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমান উল্লাহ তার একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। শুধু তার পক্ষে নির্বাচন করায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুল হক মিঠুর সমর্থকরা তাকে গলা কেটে হত্যা করতে চেয়েছে। এ ঘটনায় আতঙ্ক এবং চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে। দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে অভিযুক্ত মনিরুল হক মিঠুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি নির্বাচনে হেরেছেন ঠিকই, তবে কোনো রকম সহিংসতা করার ইচ্ছা তার নেই। ফলাফল তিনি মেনে নিয়েছেন। তিনি বা তার কোনো কর্মী এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিজয়ী প্রার্থী আক্তার হোসেন রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য নিজস্ব লোকের মাধ্যমে এ কাজ করেছে।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রইছ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।