Can't found in the image content. শক্রতার জেরে খামারে আগুন, পুড়ল ৭ গরু | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

শক্রতার জেরে খামারে আগুন, পুড়ল ৭ গরু

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বুধবার, জানুয়ারী ৫, ২০২২

শক্রতার জেরে খামারে আগুন, পুড়ল ৭ গরু
নওগাঁয় পেট্রোল দিয়ে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে খামারে থাকা ৭টি গরুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোররাতে সদর উপজেলার দুবলহাটী ইউনিয়নের কানমটকাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় খামার মালিক ইমাম হোসেন ( ইমন) বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ৮জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫জনকে আসামি করে নওগাঁ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটী ইউনিয়নের কানমটকাই গ্রামের ইমাম হোসেন ৩বছর যাবৎ নিজবাড়িতে খামার তৈরি করে গরু মোটা তাজা করে আসছিলেন। প্রতিদিনের মত গরুকে সোমবার রাত ১১টার দিকে খাবার দিয়ে খামারের দরজা বন্ধ করে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। পরে ভোর ৫টার দিকে গরুর চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। এর পর দ্রুত বাহিরে আসলে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান বাড়ির লোকজন। চিৎকার চেঁচামেচির শব্দে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। এর পর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হলে ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই এলাকাবাসীর সহযোগীতায় দেড়ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরই মধ্যে আগুনে ৭টি গরু ও ১০টি মুরগী পুড়ে মারা যায়।

এ ঘটনায় থানায় ৮জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেছেন খামার মালিক ইমাম হোসেন। অভিযুক্তরা হলেন, কানমটকাই গ্রামের মৃত ওবির আলীর ছেলে মো. সালেন (৪৫), মৃত সাদেক আলী মোল্লার ছেলে মোজাম মোল্লা (৫০) ও তার ছেলে মো.ফাইন (৩০), মৃত সাকবর এর ছেলে মো. তয়েন (৪৫) তার স্ত্রী মোছা. নার্গিস (৩৫) মো. রাজুর স্ত্রী মোছা. সাথী (২৫), মো. তয়েন এর স্ত্রী মোছা.সহিদা (৪৫) এবং মোজাম মোল্লার স্ত্রী মোছা. ফেরদৌসী (৪৫)।

ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক ইমাম হোসেন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে পেট্রোল দিয়ে আমার গরুর খামারে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। অনেক কষ্ট করে গরুগুলো লালন-পালন করে স্বাবলম্বী করে তুলেছিলাম। খামারে থাকা ৭টি গরু ও ১০টি মুরগী পুড়ে মারা গেছে। গরুর খামারের মধ্যে রাখা সার, গরুর খাদ্যসহ সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে। যাদের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করেছি তারাই ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে গরু বিক্রির সাড়ে ৪লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে আদালতে একটি মামলা করেছিলাম। সে মামলা বর্তমানে চলমান। তারা মামলা তুলে নেয়ার জন্য অনেকবার ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিল। মামলা তুলে না নেয়ায় পূর্ব শক্রতার আমার গরুর খামারে আগুন লাগিয়ে দেয়। আমি তাদের কঠিন শাস্তির দাবি করছি।

এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, ইমাম হোসেন এর গরুর খামারে আগুন লাগার বিষয়ে দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত মালিক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগটির প্রেক্ষিতে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।