ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

নাম পাল্টে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুদানের টাকা হাতানোর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, আগস্ট ১৪, ২০২১

নাম পাল্টে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুদানের টাকা হাতানোর অভিযোগ

ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের কয়েক সদস্য নাম জালিয়াতী ও অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ অনুদানের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ‘প্রথম দফায় যারা অনুদান পেয়েছে ২য় দফায় তারা পাবেনা মর্মে শর্ত থাকলেও প্রেসক্লাবের ওই সদস্যরা বিষয়টি আড়াঁল করতে এই অপকৌশল করেছেন বলে অভিযোগে জানাগেছে।

জেলা প্রশাসকের কাছে গোপন করে এ জালিয়াতীর বিষয়টি জানাজানি হলে সাংবাদিক মহলে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষুব্দ সাংবাদিকরা জেলা প্রশাসক, সাংবাদিক কল্যান ট্রাষ্ট, পিআইবি মহাপরিচালক ও জেলা তথ্য কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করেছে। তারা ঘটনার তদন্ত পূর্বক বিচার ও অর্থলোভীদের হাত থেকে প্রেসক্লাবকে মুক্ত করার দাবী জানিয়েছে।

জানাগেছে, করোনা মহামারির শুরুতে সারা দেশের সাংবাদিকদের সহায়তার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যান ট্রাষ্টের মাধ্যমে জনপ্রতি ১০হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন। সে অনুযায়ী প্রথম দফায় গত বছর ২০২০ সালে জেলার ২০জন সাংবাদিক অনুদানের চেক পান। করোনার প্রভাব কমে না আসায় এবার ২০২১সালে একই ভাবে অনুদান প্রদানের ঘোষনা করা হলেও এবার শর্ত ছিল যারা পূর্বে অনুদান ২য় দফায় তাদের নাম দেয়া যাবেনা।

তাছাড়াও করোনা কালে চাকুরিচ্যুত, ১বছরে বেতন পাননা বা চাকুরি আছে বেতন নাই এবং ইতিপূর্বে ট্রাষ্টের অনুদান পেয়েছেন কিনা পেলে তার বিস্তারিত বিবরন লেখার শর্ত উল্লেখ থাকলেও সে সম্পর্কে সুষ্পষ্ট তথ্য উল্লেখ করতে হবে উল্লেখ রয়েছে। থাকলেও সে সম্পর্কে উক্ত সাংবাদিকরা মিথ্যা-মনগড়া তথ্য দিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

অনুদানের আবেদন ফর্মের শর্তানুযায়ী টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতি ৭ জন ও প্রেসক্লাবের ৮ জনের নামের তালিকা জেলা প্রশাসকের নিকট জমা দেয়া হলে তিনি সেই তালিকাই সুপারিশ করে ঢাকায় পাঠান। সেই অনুযায়ী মোট ১৭জন সাংবাদিকের নামে অনুদানের চেক পাশ হয়ে আসে। গতকাল ১২আগষ্ট বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ চেক হস্থান্তর করা হয়।

এসময় প্রেসক্লাবের ৫/৬জন সাংবাদিক নামপাল্টে ২য় দফায় অনুদান চেক হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। জেলা প্রশাসকের সামনেই কয়েক সাংবাদিক নাম পাল্টে অনুদানের চেক গ্রহনের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলে। অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনা ধামাচাপা দিতে দ্রুতো প্রেসক্লাবের সভাপতি চিত্ত দত্ত ও ভারপ্রাপ্ত সাঃসম্পাদক মানিক রায় জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে চেকগুলো নিয়ে চলে আসেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন

এ ভাবে অনুদানের অর্থহাতিয়ে নেয়াদের মধ্যে প্রেসক্লাবের সহসভাপতি দুলাল সাহার (যমুনা সাহা) দালাল সাহা, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মানিক রায়ের (চ্যানেল আই) মানিক কুমার শীল, সহসাধারন সম্পাদক কেএম সবুজের (এনটিভি) মোঃ সবুর খান, সদস্য তরুন কুমার সরকার (৭১টিভি) তরুন সরকার ও মোঃজহিরুল ইসলাম জলিলের (আরটিভি) নাম আব্দুল জলিল সরদার বলে উল্লেখ করেছেন।

এ ঝালকাঠি জেলা তথ্য কর্মকর্তা শুপারিশ কমিটির সদস্য সচিব আহসান কবির জানায়, বিশেষ অনুদানের তালিকা বা চেক প্রদান সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা।     

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ জোহর আলী জানান, ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক যে তালিকা দিয়েছে সেটাই পাঠানো হয়েছে। এধরনের কিছু হয়ে থাকলে বিষযটি দুঃখ জনক।