রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অপহরণের ১১ দিন পর দুই কিশোরকে উদ্ধার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা।
কক্সবাজারের থাইংখালী ১৯ শরণার্থী ক্যাম্প এলাকা থেকে তাদের অরহরণ করা হয়।
উদ্ধার হওয়া অপহৃতরা উখিয়া উপজেলার থাইংখালী ক্যাম্পের ব্লক-বি/১০, এফসিএন ২১৩৮৭৩ বাসিন্দা করিমুল্লাহ ছেলে মোঃ আনাস (১৪) এবং একই ক্যাম্পের ব্লক-সি/১, এফসিএন ২০৫৭৪৪ বাসিন্দা মোঃ হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ(১৩)।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে হ্নীলা ইউনিনের শালবাগান ক্যাম্প (নং- ২৬) সংলগ্ন পাহাড় থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) অধিনায়ক এসপি মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর রোববার রাতে মোঃ আনাস একই ক্যাম্পের বাসিন্দা আব্দুল্লাহকে দূস্কৃতকারীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। বিষয়টি স্বজনেরা এপিবিএনকে অবহিত করে। ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পের দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। বৃহস্পতিবার সকালে শালবাগান ক্যাম্পের দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশের একটিদল অভিযান চালিয়ে ক্যাম্পের ব্লক-ই/১ সংলগ্ন পাহাড় থেকে অপহৃত দুই রোহিঙ্গা কিশোরকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরো বলেন, উদ্ধারকৃত ভিকটিমরা বর্তমানে ক্যাম্প হেফাজতে রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিতপূর্বক গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে বাস্তচ্যুত হয়ে আসা একদল বিপথগামী রোহিঙ্গা এদেশে বসবাসরত পুরাতন রোহিঙ্গাদের সাথে মিশে অপহরণ, গুম, মাদক, ধর্ষন, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করছে ওই বিপথগামী দল। গত ২০ ডিসেম্বর অপহরন চক্রের দল দমদমিয়া থেকে দুই রোহিঙ্গা কে রাতের বেলায় তুলে নিয়ে পাহাড়ে নিয়ে যায়। পরে ১৭ লাখ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ন মুক্তিপন নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে দুইদিন পর ছেড়ে দেয়। শুধু এ ঘটনা নই প্রতিনিয়ত এধরনের অপহরন বানিজ্য চলে আসছে। এনিয়ে দিন দুপুরেও আতঙ্কে রয়েছে রোহিঙ্গাসহ স্থানীয়রা।
এদের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনাসহ আটক ব্যক্তিরা যাতে সহজে মুক্তি না পায় সেদিকে নজর রাখার জোর দাবী সচেতন মহলের।