বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনের সামনে এক পরিবহন এজেন্ট ব্যবসায়ীর পেটে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পরপরই হামলকারী যুবক জলিল হাওলাদারকে পুলিশ আটক করেছে। আহত ব্যবসায়ীকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপতাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন আহতের স্বজনরা। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কোতয়ালী থানা পুলিশ।
আহতের নাম শামীম মুন্সি (৫১)। তিনি নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দা কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং কেডিসি সার গোডাউনের পরিবহন কমিশন এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন। আটক হামলাকারী জলিল হাওলাদারও কাজীপাড়া সংলগ্ন নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শামীম মুন্সি বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেডিসি থেকে মোটর সাইকেলযোগে নিজ বাসা কাজীপাড়া এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। পুলিশ লাইনের প্রধান ফটকের কাছে জলিল তার গতিরোধ করেন। শামীম মোটরসাইকেল থামানোমাত্র জলিল শামীমের পেটের ডান পাশে ছুরিকাঘাত করে। ছুরিটি পেটেই বিদ্ধ হয়ে থাকে। ঘটনার পরপরই আশপাশে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা হামলাকারী জলিলকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। এদিকে আহত শামীম মুন্সিকে ভর্তি করা হয় শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পেটে ছুরিকাঘাতের একজন রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সার্জারি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।
আহতের স্বজনরা জানান, হামলাকারী ও আহত ব্যক্তি পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দা। জলিল তার পরিবারে নানা অশান্তি করে। এ নিয়ে প্রায়ই প্রতিবেশিরা শালিস দরবার করে। শালিস দরবারে একদিন জলিলকে কয়েকটি চড়-থাপ্পর দেন শামীম মুন্সি। এর জের ধরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা। এছাড়া অন্য কোনও ঘটনাও থাকতে পারে বলে সন্দেহ তাদের।