ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

ঈশ্বরদীতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বুধবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২১

ঈশ্বরদীতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় শারমিন শিলা (৩২) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মুনসিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূ শারমিন শিলা ঈশ্বরদী পৌরসভার মশুড়িয়াপাড়া এলাকার মৃত রহমত আলীর মেয়ে। তিনি দাশুড়িয়া মুনসিদপুর গ্রামের ব্যবসায়ী রানা ইসলামের সহধর্মিণী ছিলেন। তাদের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় এলাকাবাসী সুমন (২৫) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। আটক সুমন দাশুড়িয়া মুনসিদপুর এলাকার মৃত আজগর আলীর ছেলে।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামি সুস্থ হলে জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কারণ জানা যাবে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নে মুনসিদপুরে চারতলা বাড়ির রান্নাঘরে রান্না করছিলেন গৃহবধূ শিলা। বাড়িতে লোকজন না থাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সবার অগোচরে চারতলায় প্রবেশ করে ওই দুষ্কৃতকারী। রান্নাঘরে ঢুকে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে শিলাকে।

গৃহবধূ নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য দৌড়ে বাড়ির ছাদে আশ্রয় নেয়। চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। এ সময় ওই দুষ্কৃতকারী ছাদে গিয়ে আবার কোপাতে থাকে। এ সময় বাড়ির নিচে ছিলেন গৃহবধূ শিলার স্বামী।

পরে তিনি দৌড়ে সেখানে যান। দুজনের ধস্তাধস্তিতে ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায় ওই দুষ্কৃতকারী। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ আহত দুষ্কৃতকারীকে আটক করে।

শিলার স্বামী ব্যবসায়ী রানা ইসলাম আহতও হয়েছেন। তিনি পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পরে ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) হাদিউল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, ওই দুষ্কৃতকারীকে পুলিশ আটক করেছে। বর্তমানে অসুস্থ থাকার কারণে তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে নিহত গৃহবধূর লাশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে যায়। লাশ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ খুনের কারণ এখনও জানা যায়নি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখে আটক দুষ্কৃতকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।