নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ২০ নেতাকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাত ৯টার দিকে কবিরহাট উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ও সদর উপজেলার এওজবালিয়া, অশ্বদিয়া ও আন্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
তাদের আগামী তিন দিনের মধ্যে সংগঠন থেকে কেন তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না সে বিষয়ে জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন।
এর আগে রোববার রাতে আহ্বায়ক ও দুই যুগ্ম আহ্বায়ক স্বাক্ষরিত পত্রগুলো ২০ নেতার কাছে পাঠানো হয়।
সেখানে জানানো হয়, জেলার সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নে আবদুজ জাহের, অশ্বদিয়া ইউনিয়নে গোলাম হোসেন বাবলু, আন্ডারচর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুর রবের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছেন।
অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন— এওজবালিয়ায় সদর উপজেলা আ.লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক জহির খান, সদস্য জিল্লুর রহমান, ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কালা মিয়া, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন, ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আরমান হোসেন, সদস্য মো. সাইদ নাঈম, ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন, মেজর মান্নান কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সামছুদ্দিন স্বপন, সদস্য আব্দুর রহমান জিহাদি, ৮নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি নুরুল হুদা, ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি সুফি আহমেদ ও ৮নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সদস্য হারুনুর রশিদ শান্ত।
অশ্বদিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রুহুল আমিন মেম্বার, অশ্বদিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক হারাধন পাল। আন্ডারচর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য মোখলেসুর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী হায়দার বকশী, সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম, ৫নং ওয়ার্ড আ.লীগ সভাপতি জসিম উদ্দিন। নিজ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচারে অংশগ্রহণ করার প্রমাণ পাওয়ায় অভিযুক্ত সবাইকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
অপরদিকে কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় বাটইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ও আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন মিলনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সোমবার সন্ধ্যায় এক কর্মিসভায় দল থেকে অব্যাহতির ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদ উল্যাহ খান সোহেল।