ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, জুলাই ৫, ২০২৪ |

EN

মানিকগঞ্জে লটারির মাধ্যমে স্কুলে ভর্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, ডিসেম্বর ২০, ২০২১

মানিকগঞ্জে লটারির মাধ্যমে স্কুলে ভর্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ
মানিকগঞ্জের সাটু‌রিয়া উপ‌জেলার সাটুরিয়া সরকারি আদর্শ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকেরা।

গত ১৫ ডিসেম্বর ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির উপস্থিতিতে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে সাটুরিয়া সরকারি আদর্শ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হয়। ক‌ম্পিউটা‌রের মাধ‌্যমে লটা‌রি সম্পাদন ক‌রেন সাটুরিয়া সরকারি আদর্শ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাটু‌রিয়া উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আরা।

অভিভাবকদের দাবি, লটারিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নামের তালিকায় অন্য শিক্ষার্থীদের নাম বসিয়ে ফল প্রকাশ করা হয়েছে। তাই এই ত্রুটিপূর্ণ ফলাফল বাতিলের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা।

প্রকাশিত ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, লটারিতে নির্বাচিত ৮৪ নম্বর ফরমের শিক্ষার্থী মো. বায়জিদের স্থলে চূড়ান্ত তালিকায় সবুজ মিয়া নামে এক শিক্ষার্থীর নাম রয়েছে। ১৪১ নম্বর ফরমে আফরোজা আক্তারের পরিবর্তে শেহাব উদ্দিন, ৪১ সিরিয়ালে আয়শা আক্তারের স্থলে আসিফ হোসেন নামে এক শিক্ষার্থীর নাম রয়েছে। 
অপর দিকে, চূড়ান্ত ও অপেক্ষমাণ উভয় তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন, ৫ নম্বর ফরম রাব্বি হোসেন, ৩৭ নম্বর ফরম অন্তর মনিদাস, ৬৭ নম্বর ফরম ফাল্গুনী দাস, ১২৩ নম্বর ফরম রায়হান হোসেন, ১৩৮ নম্বর ফরম উজ্জল হোসেন, ১৪৫ নম্বর ফরম মো. সায়াম হোসেন, ১৪৯ নম্বর ফরম মো. ইউসুফ আলী ও ১৬৯ নম্বর ফরম জিদান।

অভিভাবকদের দাবি, বিদ্যালয়টি সরকারি হওয়ার পর থেকে একটি চক্র প্রতি বছর ভর্তি বাণিজ্য করে আসছে। 

আবদুর রহিম নামে এক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের অপেক্ষমাণ তালিকাতে একই শিক্ষার্থীর নাম রয়েছে। ফরম নম্বরের সঙ্গে নামের চূড়ান্ত ফলাফল তালিকায় শিক্ষার্থীর নাম, পিতা ও মাতার নামের কোনো মিল নেই অনেক শিক্ষার্থীর। আর যে চূড়ান্ত তালিকা করা হয়েছে তা একই সিরিয়ালে রয়েছে। প্রতিবছর এই স্কুলে কোনো না কোনো দুর্নীতি করে।

অভিভাবক মামুন অর রশিদ বলেন, যে সকল শিক্ষার্থীর নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে অনেকের মোবাইলে বার্তা পাঠানো হয়নি। অথচ যাদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি তাদের মোবাইলে বার্তা পাঠানো হয়েছে। ভর্তি বাণিজ্য করার জন্যই এমন করা হয়েছে। আমি এই ফলাফল বাতিল করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

সাটুরিয়া সরকারি আদর্শ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সফটওয়্যারের ভুলের কারণেই এমনটি হতে পারে। ভুলবশত গতবারের ভোকেশনালের শিক্ষার্থীদের নামের তালিকাটা এবারের ফলাফলের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া চূড়ান্ত ও অপেক্ষমাণ উভয় তালিকায় কিছু শিক্ষার্থীর নাম এসেছে।
সাটুরিয়া সরকারি আদর্শ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ইউএনও শারমিন আরা বলেন, লটারির মাধ্যমে ফল প্রকাশের চূড়ান্ত তালিকায় যেসব ভুল হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ ডিসেম্বর ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির উপস্থিতিতে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে এ লটারি অনুষ্ঠিত হয়। একই দিনে চূড়ান্ত তালিকাও প্রকাশ করা হয়।