স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিনাজপুরের হিলিতে সরিষার আবাদ দ্বিগুণ বেড়েছে। তবে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় শরিষার আবাদ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এ উপজেলায় ১৪শ’ ৪০ হেক্টও জমিতে সরিষা চাষ হয়েছিল। এবছর সেখানে ২৮শ’২৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এবং ৯৪০ জন শরিষা চাষিদেও মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি ফসলের মাঠজুড়ে এখন শরিষার ফুলে ছেয়ে গেছে। এই মৌসুমে ভালো ফলনের আশায় কৃষকরা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কৃষকের পাশাপাশি বসে নেই কৃষি কর্মকর্তারাও। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের বাাম্পার ফলন পেয়েছে এখানকার কৃষকরা। এরপর এক জমিতে তিন ফলনের আশায় আমন ধান কাটার পরেই শরিষা আবাদ করেছেন কৃষকরা। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন সংশ্লিস্টরা।
জাংগই গ্রামের কৃষক আকরাম হোসেন বলেন, জমিতে শরিষা আবাদ করলে জমি উর্বর হয়, তাছাড়া শরিষা চাষে তেমন কোন খরচ হয়না। আমি এ বছর ৪ হেক্টর জমিতে চারিষা চাষ করেছি। আশা করছি ভালো ফলন পাব।
ছাতনী গ্রামের কৃষক হাসান জানান, সয়াবিন তেলের দান বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবারের তেলে চাহিদা মেটাতে ২ বিঘা জমিতে শরিষা চাষ করেছি।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ডা. মমতাজ সুলতানা জানান, শরিষা আবাদ বৃদ্ধি করতে আমরা নিয়মিত উঠান বৈঠকের মাধ্যমে কৃষকদের সচেতনাতা পাশাপাশি পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগে কোন প্রকার ক্ষতি না হলে সরিষার বাম্পার ফলনের সাম্ভবনা রয়েছে।