ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বুধবার, এপ্রিল ১৭, ২০২৪ |

EN

শেরপুরে জমজমাট পিঠা উৎসব

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, ডিসেম্বর ১৭, ২০২১

শেরপুরে জমজমাট পিঠা উৎসব
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বুধবার বিকেলে জমজমাট পিঠা উৎসব বসে ছিল শেরপুর পৌরসভা কার্যালয় মাঠে।শেরপুর পৌরসভার আয়োজনে, পৌর লেডিস ক্লাবের বাস্তবায়নে পিঠা উৎসবকে ঘিরে নারী পুরুষসহ সকল শ্রেণীর মানুষের ঢল নামে। পিঠা মেলায় বিকাল জুড়ে হুইপপত্নী শান্তা রহমান ও সস্ত্রীক পিঠার স্বাদ নিয়েছেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

আয়োজক সূত্র জানায়, অল্প সময়ের আহবানে মাঠজুড়ে অসংখ্য পিঠার ষ্টল নিয়ে বসেছিলেন গৃহবধূ, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষ। উৎসব মাঠে সরাসরি পিঠা বানানোর দৃশ্য ও মুহুর্মুহু পিঠার গন্ধ আগন্তকদের তৃপ্তি দিয়েছে।উৎসবে বাংলার ঐতিহ্যবাহী ও নতুন প্রজন্মের নানান প্রকারের পিঠা উৎসবকে আকর্ষনীয় করে তোলে। দেশীয় পাটিসাপ্টা, সংসারী, পোয়া, দুধ-চিতই ও চিথই পিঠার পাশাপাশি হৃদয় হরণ, মন কারা, কুমারী পিঠা, বৌ-পিঠা উঠেছিল বেশ। বিভিন্ন ফুলের নামে বিশেষ করে কেয়া, মাধবীলতা, গোলাপ, রজনীগন্ধা, ক্যামেলীয়া, হাসনাহেনা, অপরাজিতাসহ নানা বাহারি নামে ২০টি স্টল বসে মেলাকে ঘিরে। দুধ চিতই, সাগুর লস্করা, নয়নতারা, ডালের বরফি, হেয়ালি পিঠা,পাটিসাপটা, নারকেল পুলি, দুধ পুলি, তালের পিঠা, মাছ পিঠা, মালপোয়া, ঝালপোয়া, সুজির পিঠা, মাংসের সমুচা,ডিম পিঠা, মুগ পাকান, পুডিং, পায়েস, পানতোয়াসহ প্রায় শতাধিক রকমের পিঠা বিক্রি ও প্রদর্শিত হয়। 

উৎসবের আয়োজক শেরপুর পৌর মেয়র ও বিশিষ্ঠ সংস্কৃতি কর্মী গোলাম কিবরিয়া লিটন বলেছেন, বিজয় দিবস, মুজিববর্ষ ও বাঙালির ঐতিহ্য এই পিঠা উৎসবকে ঘিরে মিলন মেলায় পরিনত হয়ে উঠে পৌরসভা প্রাঙ্গন। পিঠা উৎসব আগামীতে আরো বড় পরিসরে অন্তত দুই দিনব্যাপি করা হবে বলে মেয়র জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী বলেন, শীতের পিঠা বাঙালির সংস্কৃতির বিরাট এক অংশ। মুজিববর্ষ ও বিজয় দিবস উপলক্ষে এই আয়োজনকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। শীত জুড়ে এমন আয়োজন আরও হওয়া উচিত।