ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১২, ২০২১
পরীমনিকে
নিয়ে তসলিমা নাসরিন আতঙ্কিত। সেই আতঙ্ক তিনি
লুকোননি। প্রকাশ করেছেন তার সামাজিক পাতায়।
সেখানে তার প্রশ্ন, ‘রিমান্ডে
পরীমনির শারীরিক নির্যাতন হচ্ছে না তো? ধর্ষণ
করা হচ্ছে না তো?’
কেন
তার এই আতঙ্ক, সেই
ব্যাখ্যাও লেখিকা দিয়েছেন। তসলিমা জানেন, ‘এই যে পরীমনিকে
রিমান্ডে নিচ্ছে দিনের পর দিন, রিমান্ডে
তো শুনেছি মানুষকে প্রচণ্ড নির্যাতন করা হয়।’
তিনি
এ বিষয়েও নিশ্চিত যে, রিমান্ডে নিয়ে
পরীমনির মানসিক নির্যাতন হচ্ছেই। পাশাপাশি তার আরও দাবি,
পরীমনি একে ‘মেয়ে, তার
ওপর সুন্দরী। তাকে যে কত
ভাবে পুরুষেরা এক্সপ্লয়েট করে’!
এ
বিষয়েও বিশদে লিখেছেন লেখিকা। তার মতে, ‘পরীমনি
সমাজের অধিকাংশ মেয়ের মতোই ভুল মানুষের
প্রেমে পড়ে। এক সাংবাদিকের
প্রেমে পড়েছিল। তাকেই বিয়ে করবে ঘোষণা
করেছিল। শেষ মুহূর্তে সে
বিয়েটা ভেঙে দিতে বাধ্য
হল। কারণ সেই সাংবাদিক
পরীমনির সিনেমার নিন্দে করেছিল। তাকে সিনেমা করতে
বাঁধা দিচ্ছিল। এমন লোককে বিয়ে
না করার সিদ্ধান্তটি পরীমনি
ঠিক নিয়েছিল’।
তসলিমা
আরও জানিয়েছেন, ‘এক পরিচালক পরীমনিকে
বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ায় সে হুট করে
এক রাতের নোটিশে বিয়ে করে ফেলেছিল।
পর দিন টনক নড়ে,
এ লোক তো সুবিধের
নয়! শেষ পর্যন্ত তাকেও
সে ছাড়তে বাধ্য হল। সুদর্শন এক
পুলিশ অফিসারের প্রেমে সাড়া দিয়েছিল। অফিসারটি
বলেছিল, সে অবিবাহিত। পরে
যখন জানতে পারে সে বিবাহিত,
পরীমনি সরে আসে’।
এই
লেখায় তসলিমাকে খোলাখুলি সমর্থন জানিয়েছেন তার অনুরাগীরা। কেউ
বলেছেন, 'এক সময় ধারণা
ছিল সৌন্দর্য মেয়েদের একটা শক্তি। যা
তারা নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য
ব্যবহার করতে পারে। পরে
বুঝতে পেরেছি, এই পুরুষশাসিত সমাজে
মেয়েদের কোনও শক্তিই সুরক্ষিত
নয়। পরীমনির জন্য অসহায় লাগে।'
আরেক
জনের আক্ষেপ, পরীমনি কখন, কোথায়, কী
করেছে এসব নিয়ে মিডিয়া
খবর করলেও তার এই নির্যাতন
নিয়ে কেউ লিখছে না!
সুত্র-আনন্দবাজার পত্রিকা