ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

আত্মসমর্পণের পর কারাগারে মাহমুদুর রহমান

আদালত প্রতিবেদক | আপডেট: রবিবার, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪

আত্মসমর্পণের পর কারাগারে মাহমুদুর রহমান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্রের মামলায় সাত বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আজ এ মামলায় আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন মাহমুদুর রহমান। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত বছর ১৭ আগস্ট এই মামলায় মাহমুদুর রহমান, শফিক রেহমানসহ ৫ জনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন এই আদালতের সাবেক বিচারক আসাদুজ্জামান নূর। তাদেরকে পৃথক দুটি অভিযোগে এই দণ্ড দেয়া হয়। একইসঙ্গে তাদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- যাযায়দিন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান, দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

রায়ের সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এই মামলায় ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয় আদালতে সাক্ষ্য দেন। ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় এ মামলা করেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল এই মামলায় শফিক রেহমান গ্রেফতার হন। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক হন।