ফেনী, নোয়াখালীসহ বেশ কিছু জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। পানি কমার সাথে সাথে স্পষ্ট হয়ে উঠছে বন্যার ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন। চলছে বানভাসী মানুষের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার লড়াই। ফেনী সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে বানের পানি নামছে। নষ্ট হয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। অসংখ্য কাঁচা-ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় এখনো বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন বানভাসীরা। সব হারিয়ে নিঃশ্ব হতভাগ্য মানুষগুলো।
এদিকে, গত দু'দিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদী, সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। তবে, এখনো পানিবন্দি ৮টি উপজেলার ৮৭টি ইউনিয়নের ২১ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ মানুষ।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের আশ্রয়কেন্দ্রেগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সংকট রয়েছে। ত্রাণ সহযোগিতার দিকে তাকিয়ে বানভাসীরা। লক্ষ্মীপুরেও ধীরগতিতে কমছে বন্যার পানি। বিভিন্ন সড়ক থেকে পানি নামলেও এখনো তলিয়ে আছে বাড়ি-ঘর। চরম ভোগান্তিতে হতভাগ্যরা।