ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

আজ মহানায়ক বুলবুলের চলে যাওয়ার দিন

বিনোদন ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, জুলাই ১৫, ২০২৪

আজ মহানায়ক বুলবুলের চলে যাওয়ার দিন
ঢালিউড অভিনেতা বুলবুল আহমেদের চিরবিদায়ের দিন আজ। ১৪ বছর আগে গুণী এ অভিনেতা আমাদের ছেড়ে পরপারে চলে যান। ২০১০ সালের এই দিনে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এ মহানায়ক। 

১৯৭৩ সালে আবদুল্লাহ ইউসুফ ইমামের (ইউসুফ জহির) ‘ইয়ে করে বিয়ে’র মাধ্যমে প্রথম বড়পর্দায় অভিনয় শুরু করেন ঢালিউড মহানায়ক বুলবুল আহমেদ। এর পরের বছর আবদুল্লাহ আল-মামুনের ‘অঙ্গীকার’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। দুটি সিনেমাই সেই সময় দারুণ সুপার হিট হয়। তবে বুলবুল আহমেদ ঢাকাই সিনেমার দর্শকদের কাছে চিরদিন শ্রদ্ধেয় হয়ে আছেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি দুই চরিত্র ‘শ্রীকান্ত’ ও ‘দেবদাস’-এ দুর্দান্ত অভিনয় গুণে। ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ ও ‘দেবদাস’— এ দুটি সিনেমা দিয়ে তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন সব শ্রেণির দর্শকদের হৃদয়ে। এ ছাড়া ‘মহানায়ক’, ‘সীমানা পেরিয়ে’, ‘সূর্যকন্যা’ সিনেমাগুলোতে বুলবুল আহমেদ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন অনন্য উচ্চতায়। তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালক হিসেবেও সফলতা অর্জন করেন। তার পরিচালিত ‘ওয়াদা’, ‘মহানায়ক’, ‘ভালো মানুষ’, ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’, ‘আকর্ষণ’, ‘গরম হাওয়া’, ‘কত যে আপন’ সিনেমাগুলো আলোচিত হয়েছে। 

১৯৭৭ সালে ‘সীমানা পেরিয়ে’, ১৯৭৮ সালে ‘বধূ বিদায়’, ১৯৮০ সালে ‘শেষ উত্তর’ ও ‘১৯৮৭ সালে ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ ছবির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে নেন। অভিনয়ের জন্য বুলবুল আহমেদ চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। 

সত্তর-আশির দশকে যে কয়েকজন সুদর্শন নায়ক বাঙালি দর্শকদের মন জয় করেছিলেন, তরুণীদের হৃদয়ে স্বপ্নের পুরুষ ছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বুলবুল আহমেদ। তিনিই ঢালিউডের প্রথম ‘মহানায়ক’— এমনকি ‘দেবদাস’ও। 

ঢাকাই সিনেমাজগতের একসময়ের সাড়াজাগানো নায়ক বুলবুল আহমেদের জন্ম ১৯৪১ সালে পুরান ঢাকায়। দারুণ মেধাবী ছিলেন তিনি। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার কলেজিয়েট স্কুল, নটর ডেম কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়াশোনার পাট চুকিয়ে তিনি একটি ব্যাংকে কর্মজীবন শুরু করেন। চাকরির পাশাপাশি শুরু করেন টিভিতে অভিনয়। বুলবুল আহমেদ অভিনীত প্রথম টিভি নাটক ছিল আবদুল্লাহ আল-মামুনের পরিচালনায় ‘বরফ গলা নদী’। এ ছাড়া তার উল্লেখযোগ্য টিভি নাটকগুলো হচ্ছে— ‘মালঞ্চ’, ‘ইডিয়েট’, ‘মাল্যদান’, ‘বড়দিদি’, ‘আরেক ফাল্গুন’, ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’। ধারাবাহিক ও খণ্ডনাটক মিলিয়ে চার শতাধিক নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন। বুলবুল আহমেদ অভিনীত সর্বশেষ টিভি নাটক ছিল ২০০৯ সালে শুটিং করা ‘বাবার বাড়ি’।

অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালক হিসেবে সফলতা পান বুলবুল আহমেদ। তার পরিচালিত ‘ওয়াদা’, ‘মহানায়ক’, ‘ভালো মানুষ’, ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’, ‘আকর্ষণ’, ‘গরম হাওয়া’, ‘কত যে আপন’ ছবিগুলো আলোচিত হয়েছে।