এবারের ঈদুল আজহায় ‘নানা-নাতি’ শিরোনামের একটি গান প্রকাশ করেন র্যাপার আলী হাসান। এতে তার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন অভিনেতা-গায়ক-কবি মারজুক রাসেল। আলী হাসানের লিখা গানটিতে ‘নানা’ ও ‘নাতি’ দু’টি চরিত্রকে সামনে রেখে এগিয়েছে। গানটির একটি লাইন ‘বর্তমানের কোর্টে বিচার চলে নোটে’, যা নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
এমনকি আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে গানটির বিরুদ্ধে। এবার ইউটিউব থেকে এই গান সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার সকালে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে হাইকোর্ট একটি রুলও জারি করেছেন। দুই বছর আগে ‘ব্যবসা পরিস্থিতি’ গানটি গেয়ে পরিচিতি পান আলী হাসান। সর্বশেষ কোক স্টুডিও বাংলায় ‘মা লো মা’ গানের মাধ্যমে আবারো আলোচনায় আসেন তিনি।
কিন্তু এই গানের পর ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে বেশ সমালোচিত হন আলী হাসান। গান থেকে উপার্জনকে হারাম বলে খবরের শিরোনাম হন তিনি। এর মধ্যেই গত ১৬ জুন রাতে আরবিটি এন্টারটেইনমেন্ট থেকে প্রকাশ করেন 'নানা নাতি' শিরোনামের এই গান। এতে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি নানা ও নাতির ভূমিকায়ও ছিলেন মারজুক রাসেল ও আলী হাসান। গানের কথায় আবহমান বাংলার চিত্র উঠে এসেছে। যেখানে অতীত ও বর্তমানের সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে।
এতে নানা তুলে ধরেছেন তাদের সময়কার সামাজিক রীতিনীতি ও জীবনের গল্প। আর নাতি তুলে ধরেছেন হাল সময়ের চিত্র। এরইমধ্যে গেল ১৯ জুন এ গানের জন্য আদালত অবমাননার অভিযোগে আলী হাসানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান শেরপুর জেলা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট ফাহিম হাসনাঈন। ‘নানা-নাতি’ গানে ‘বর্তমানের কোর্টে বিচার চলে নোটে’ কথার মাধ্যমে আদালত অবমাননা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
নোটিশে ১৫ দিনের মধ্যে গানে আদালত অবমাননাকারী ‘বর্তমানের কোর্টে বিচার চলে নোটে’ লাইনটি বাদ দেওয়াসহ অনলাইনে লাইভে এসে জনসাধারণের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে মামলা করার কথাও বলা হয়েছে নোটিশে। এবার ইউটিউব থেকে গানটি সরানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।