মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ এনে গত বৃহস্পতিবার ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাতকে আইনি নোটিশ দেন আরেক নায়িকা তমা মির্জা। মিষ্টি জান্নাতও হাঁটেন একই পথে।
মানহানির অভিযোগ এনে তমা মির্জার বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে পাল্টা আইনি নোটিশ পাঠান মিষ্টি জান্নাত। সোমবার (২৭ মে) তমার বিরুদ্ধে নোটিশটি ইস্যু করা হয়।
এ নিয়ে সামাজিকমাধ্যম উত্তাল। বিষয়টি নজরে আসে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির। সভাপতি মিশা সওদাগর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (২৮ মে) শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে তমা-মিষ্টিকে বসে দুই নায়িকার দ্বন্দ্বের মিটমাট করেন।
এসময় সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব লিখিত সমঝোতা সম্পর্কে জানিয়ে বলেন, আমাদের মধ্যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কিছু বিষয় ভিন্ন অভিমতের কারণে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। উক্ত মনোমালিন্যের নিরসনকল্পে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির স্বরণাপন্ন হলে সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরের উদ্যোগে কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের উপস্থিতিতে বিষয়টির সুষ্ঠু মীমাংসা হয়। পরবর্তীতে এই বিষয়ে যাতে পূনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে আমরা সচেষ্ট থাকব।
মিশা সওদাগর বলেন, যে বিষয়টি হয়েছে ঠিক হয়নি। দুজনে ভুল বুঝতে পেরেছে। শিল্পী সমিতির মাধ্যমে পুরো বিষয়ের অবসান হয়েছে।
তমা মির্জা বলেন, দিনশেষে আমরা শিল্পী। আমাদের অভিভাবক শিল্পী সমিতি। তাদের মাধ্যমে পুরো বিষয়টির সুন্দর সমাধান হয়েছে। ধন্যবাদ শিল্পী সমিতিকে।
মিষ্টি জান্নাত বলেন, বাবা-মায়ের মতো অভিভাবক শিল্পী সমিতি। সমিতি আমাদের দ্বিতীয় পরিবার। তাদের উপস্থিতিতে সুন্দর সমাধান হয়ে। তমা আপু আমার খুব কাছের। ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন হয়েছে। আশা করব, ভবিষ্যতে এমন কিছু হবে না যাতে শিল্পীরা ছোট হয়।