ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রচণ্ড গতিবেগে লণ্ডভণ্ড উপকূলের জেলা পিরোজপুর। রোববার রাত ১১টার পর থেকে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে দুর্গত পিরোজপুরের প্রায় ৩ লাখ গ্রাহক। স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৬ ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারের চাপে পিরোজপুরের সর্বদক্ষিণের উপজেলা মঠবাড়িয়ার বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে শতাধিক গ্রাম। জেলা ও উপজেলা শহরের রাস্তাঘাটে ৩-৪ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। উপকূলের নদ-নদী এখনও উত্তাল।
এদিকে জেলার দুই শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্রে সোমবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ২২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে জেলা প্রশাসকের কন্ট্রোলরুম সূত্রে।
রেমাল রাতে আঘাত হানার পর গাছ পড়ে, লাইন ছিঁড়ে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। তবে আজ সকালেও থেমে থেমে দমকা বাতাস ও বৃষ্টি হয়েছে।
পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার সুশান্ত রায় বলেন, জেলায় ৪ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি গ্রাহক রয়েছেন। মূল সঞ্চালন লাইনের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়েছে। এতে কমবেশি ক্ষতি হয়েছে। দুর্যোগ শেষ হলে লাইনে কাজ করে বিদ্যুৎসংযোগ পুনরায় চালু করা হবে।