ঘূর্ণিঝড় রেমাল'র তান্ডবে নদী তীরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে পানি উঠে তলিয়ে গেছে ।
গত ২৬ মে থেকে ঝড়ো হাওয়া ও দমকা বাতাসে বৃদ্ধি পেতে থাকে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি।
সন্ধ্যার পর থেকেই বাতাসের বেগ বৃদ্ধির সাথে থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়। গভীর রাতে ঝড়ো বাতাস এবং বৃষ্টির কারনে নদী তীরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে পানি উঠে তলিয়ে যায়।
পৌর শহরের লঞ্চঘাট,পুকুর পাড়, ষ্টেশন রোড, ভেরিবাধ, পুরান বাজার, সিকদার পাড়ার বাড়িঘরে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিপুল সম্ভার,শাহাদাত ফকির, কাজী ভান্ডার সহ লঞ্চঘাট এলাকার বহু ব্যবসায়ীর দোকান ও গোডাউন পানিতে তলিয়ে গেছে। পৌরসভার সামনে এবং চায়না মাঠ পানিতে ডুবে আছে। রেমাল'র প্রভাব থেকে জীবন ও সম্পদ রক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, হসপিটাল, রেড ক্রিসেন্ট টিম যৌথ ভাবে প্রস্তুত ছিলো।
রেমাল'র তান্ডবে বিদ্যুত বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। গতকাল রাত থেকে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত বিদ্যুত সংযোগ চালু করা সম্ভব হয়নি। জানা গেছে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লাইন গাছ পড়ে এবং পিলার ভেঙে গিয়েছে।
পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার অধিকাংশ মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে শত শত গাছ পড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরাপদ করতে সময় লাগবে। এখনও দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি হচ্ছে।