রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত এদিন ধার্য করেন।
এদিন মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। পরীমনির পক্ষে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভি আদালতে হাজিরা দেন এবং আদালতকে জানান, আপিল বিভাগ থেকে মামলাটির ওপর স্থগিতাদেশ বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। স্থগিতাদেশ বিষয়ে সার্টিফায়েড কপি না পাওয়া পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর জন্য আবেদন করেন তিনি। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১ জুলাই পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত বছরের ৯ জানুয়ারি পরীমনির মাদক মামলার কার্যক্রম ছয় মাস স্থগিত থাকবে বলে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আদেশ দেন।
২০২১ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। পর দিন ৫ আগস্ট র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে।
তদন্ত শেষে গত বছরের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর পর চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি আদালত পরীমনিসহ তিন আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরীমনির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। ওই লাইসেন্সের মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে গেছে। পরীমনি এ মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন।