দিন দিন জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে ফেসবুকের। যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে মাধ্যমটি। অনেক সময়ই এর ব্যবহারকারীদের পড়তে হয় হ্যাকারদের কবলে। তবে ফেসবুক সুরক্ষিত রাখার উপায়ও রয়েছে। এসব উপায় অবলম্বন করলে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার পাঁচটি বিষয় আলোচনা করা হলো:
পাসওয়ার্ড: ফেসবুকের পাসওয়ার্ড অন্য কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয়। এছাড়া পাসওয়ার্ড অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করাও ঠিক না। পাসওয়ার্ড ছোটবড় অক্ষর ও নম্বর মিলিয়ে কমপক্ষে ৮ সংখ্যার হতে হবে, কেউ যাতে সহজে ধারণা করতে না পারেন।
হোয়্যার ইউ আর লগড ইন: এ সুবিধাটির মাধ্যমে ব্যবহারকারী কোন অবস্থান ও ডিভাইস থেকে অ্যাকাউন্টে লগ ইন করেছে তা দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে অ্যাকাউন্টের যে কোনো অস্বাভাবিক কার্যক্রম চিহ্নিত করা যাবে। এছাড়া অপরিচিত কোনো স্থান থেকে লগইন হওয়া ডিভাইসকে নট মি হিসেবে বেছে নেওয়ার মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা যাবে।
লগইন অ্যালার্ট: অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কার্যকরী উপায় হলো অপরিচিত লগইনের জন্য অ্যালার্ট চালু করা। গেট অ্যালার্টস অ্যাবাউট আনরিকগনাইজড লগইনস ফিচারটি চালুর মাধ্যমে অপরিচিত কোনো ডিভাইস থেকে অ্যাকাউন্টে লগইন করা হলে মুহূর্তেই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, মেসেঞ্জার ও নির্দিষ্ট ইমেইলে একটি নোটিফিকেশন পাঠানো হয়। ফলে সতর্ক হতে পারেন ব্যবহারকারী।
টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন: ফেসবুক অ্যাকাউন্টকে আরও নিরাপদ করে তুলতে চাইলে এর টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বা টুএফএ সুবিধা ব্যবহার করা যায়। ফলে অন্য কেউ লগইনের চেষ্টা করলে আসল ব্যবহারকারী কিনা তা নিশ্চিতে দুটি ধাপ পার করতে হবে। সাধারণত প্রথম ধাপে পাসওয়ার্ড দেয়ার পর দ্বিতীয় ধাপে ব্যবহারকারীকে একটি লগইন কোডও প্রবেশ করতে হবে, যা ওই ব্যবহারকারীর নিবন্ধিত মোবাইল ফোন নম্বরে টেক্সট মেসেজ বা ওটিপি হিসেবে পাঠাবে ফেসবুক।
সন্দেহজনক কোনো লিংকে ক্লিক না করা: যদি ঘনিষ্ঠ কোনো বন্ধু বা ফেসবুক বন্ধুর কাছ থেকে কোনো ইমেইল, মেসেঞ্জারে বার্তা বা পোস্ট পান, যা হয়তো তার স্বাভাবিক আচরণের সঙ্গে মেলে না, সবচেয়ে ভালো হবে সেটায় ক্লিক না করা বা সাড়া না দেওয়া।