নদী-নালা কিংবা বিলে নয় দৃষ্টিনন্দন ‘পদ্মফুল’ ফুটেছে খালের পানিতেও। অনেকটা এলাকা জুড়ে এই পদ্মফুল মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। ফলে সকাল ও বিকেলে মানুষের আনাগোনায় জায়গাটি নান্দনিকতা পেয়েছে। নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের দলুয়া মুন্সিপাড়ায় এই পদ্মফুলের দেখা মেলে। প্রকৃতির এ অনিন্দ্যসুন্দর দৃশ্য দেখতে অনেকেই আসছেন। তবে ফুল না ছেঁড়ার সতর্কতা করে সাইনবোর্ড ঝোলানো হয়েছে।
জানা যায়, কামারপুকুর এলাকাটি মূলত ইটভাটার জন্য বিখ্যাত। এ ইউনিয়নে ২২টির বেশি ইটভাটা রয়েছে। ইটভাটার মালিকরা নির্বিচারে মাটি কেটে নিলেও সেখানে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এসব গর্তে সারাবছর পানি জমে থাকে। বিস্তীর্ণ এলাকার এসব ইটভাটার গর্তের পানিতে ফুটেছে সারিসারি পদ্মফুল। পদ্মফুলের সমাহারে দর্শনার্থীরা উচ্ছ্বসিত। বড়দের পাশাপাশি স্থানীয় শিশু-কিশোরেরাও আনন্দ উপভোগ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আমু হোসেন জানান, সাদা আর গোলাপি রঙের পদ্মফুলে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে তাদের এলাকায়। প্রতিদিন পদ্মফুল দেখার জন্য লোকজনের আনাগোনা বেড়েই চলেছে। পদ্মফুল যেন কেউ না ছেঁড়ে তার জন্য সতর্ক সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে। ফুল ছিঁড়লে ৫০০ টাকা জরিমানা। ফলে দর্শনার্থীরা ভয়ে কেউ পদ্মফুল ছিঁড়েন না।
পদ্মফুল দেখতে আসা সৈয়দপুরের সাহেবপাড়ার তরুণী মৌসুমি জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই পদ্মবিলের ছবি দেখেছি। আশেপাশে বেড়ানোর মতো কোনো জায়গা নেই। ঘরবন্দি সময় কাটাতে হচ্ছিল। এখানে এসে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য কাছ থেকে দেখে অনেক ভালো লাগছে।
কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, পদ্মফুল ঘিরে মানুষের আনাগোনা ও সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে। যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।