পিরোজপুরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে সোহাগ শেখ (৩২) নামে এক যুবকেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সোহাগ শেখ সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরমপুর গ্রামের সিদ্দিক শেখের ছেলে। তিনি শহিদুল নামে একজনকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে একটি পক্ষের সঙ্গে সোহাগ শেখ ও তার পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। গত ইউপি নির্বাচনের পর ওই এলাকায় শহিদুল নামে একজন খুন হন। সে মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছিল সোহাগ শেখকে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতাবশত এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
প্রতক্ষদর্শী নিহতের ভাগিনা সামসুর রহমান বলেন, রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সোহাগ শেখের বাড়ির কাছের মসজিদের পাশে এলাকার এমাম, সামসুসহ কয়েকজন হঠাৎ সোহাগ শেখকে কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যান। এর আগেও কয়েকবার তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সামসু গত ইউপি নির্বাচনের পর খুন হওয়া শহিদুলের ভাই বাকিরাও শহিদুলের আত্মীয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজান হাওলাদার জানান, ঘটনাস্থল থেকে সোহাগকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনার সময় সোহাগের ভাগিনা সামসুর রহমান কাছেই ছিল। কারা কুপিয়েছে তা সে দেখেছে। এলাকায় আধিপত্য নিয়ে সোহাগদের সঙ্গে কিছু লোকজনের শত্রুতা ছিল। শহিদুল হত্যা মামলায় সোহাগকে এক নাম্বার আসামি করেছিলেন তারা।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।