ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, আগস্ট ১১, ২০২১
সাল ২০১৬। ওয়াজেদ আলি সুমন পরিচালিত ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় মুক্তি পেয়েছিল ‘রক্ত’। এই ছবি দিয়েই অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখেন বাংলাদেশের নায়িকা পরীমণি। সেই ছবিতে তিনি অভিনয় করেছিলেন ভারতীয় অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। নাচের একটি দৃশ্যে তাঁদের এক সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। এই মুহূর্তে পরীমণি দুই বাংলার সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে। তাঁকে নিয়ে রটনা কতটা সত্যি? কতটাই বা গুঞ্জন? জানতে ভারতের আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল প্রবীণ অভিনেতার সঙ্গে। নাম শুনেই বিপ্লব সাফ জানিয়েছেন, ‘‘ওর মতো মহিলার সঙ্গে পর্দা ভাগ করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না! নাচের একটি দৃশ্যে এক ফ্রেমে ছিলাম। এই পর্যন্ত!’’
নিজের
বক্তব্যে অনড় বিপ্লব এর
পরেই নাম নেন বাংলাদেশের
কিংবদন্তী অভিনেত্রী শাবানার। অভিনেতার দাবি, ‘‘শাবানা আক্ষরিক অর্থেই ভদ্রমহিলা। ওঁর স্বামীর সঙ্গেও
আলাপ আছে। তারকা দম্পতির
কোনও তুলনা হয় না। কিন্তু
পরীমণিকে মহিলার বাইরে অন্য কিছু বলতে
রাজি নই।’’ জাজ মাল্টিমিডিয়া এবং
এসকে মুভিজ প্রযোজিত ওই ছবিতে বিপ্লব
ছাড়াও ছিলেন আশীস বিদ্যার্থী, মেঘনা
হালদার, রাজা দত্ত। নাচের
দৃশ্য শ্যুট হয়েছিল ঘুষুড়ির ডকে।
মাত্র একটি ছবিতে কেবল নাচের দৃশ্যে অভিনয় করে কী ভাবে বিপ্লব বুঝেছিলেন, পরীমণি ‘ভদ্র’ নন?
প্রবীণ অভিনেতার দাবি, তিনি পরীমণি সম্বন্ধে অনেক কথা শুনেছেন। যা তাঁর ভাল লাগেনি। বিপ্লবের দাবি, ‘‘সব রটনাই মিথ্যে নয়। কিছু না থাকলে এক জনের নামে এত বদনাম শোনা যায়!’’ বিপ্লব কোনও দিন পরীমণির বাংলাদেশের বাড়িতে গিয়েছিলেন? অভিনেত্রী হিসেবে কতটা প্রতিভাময়ী তিনি? ‘অসুর’ খ্যাত বিপ্লব জানালেন, ‘রক্ত’-র শ্যুট হয়েছিল কলকাতায়। তাই বাংলাদেশে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কাজের সূত্রে সে দেশে গেলেও তিনি পরীমণির বাড়িতে যাননি। বদনামের ভয়ে? অভিনেতার আফসোস, ‘‘কখনও কোনও বাচ্চা ছেলে আমার কাছে আসতে চাইলে তার মা এই বলে আটকেছেন, ‘যেও না। ও খুব দুষ্টু লোক’। সেই আমার বদনামের ভয়!’’
কলকাতার একাধিক অভিনেতা নাকি বাংলাদেশে গেলে পরীমণির সঙ্গে দেখা করতে যান। এ প্রসঙ্গেও মুখ খোলেননি তিনি। জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে ইন্ডাস্ট্রির কারওর খবর রাখেন না তিনি। আগামী দিনে পরীমণি যদি সব অভিযোগ থেকে মুক্তি পান তা হলে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করবেন? বিপ্লবের স্পষ্ট জবাব, ‘‘অভিনয় আমার পেশা। সেখানে আমি চূড়ান্ত পেশাদার। কাউকে নিয়ে কোনও ছুঁৎমার্গ নেই আমার’’।